অনুবাদআলাপচারিতা

অনিয়ন্ত্রিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বৈষম্য আরও বাড়াবে— জোসেফ স্টিগলিৎজ

মার্কিন অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্টিগলিৎজ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং নিউ ইয়র্কভিত্তিক গবেষণা সংস্থা রুজভেল্ট ইনস্টিটিউটের প্রধান অর্থনীতিবিদ। নিও কেনসিয়ান ধারার এ অর্থনীতিবিদ বিশ্ব ব্যাংকের মুখ্য অর্থনীতিবিদ হিসেবে কাজ করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যানও ছিলেন স্টিগলিৎজ। ১৯৭৯ সালে তিনি আমেরিকান ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশনের জন বেটস ক্লার্ক পুরস্কার পেয়েছিলেন, যা প্রতি দুই বছর পরপর অর্থনীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য চল্লিশ বছরের কম বয়সী কোনো অর্থনীতিবিদকে দেওয়া হয়। স্টিগলিৎজ এইএ-এর জার্নাল অব ইকোনমিক পার্সপেক্টিভসের একজন প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। ২০০১ সালে জর্জ অ্যাকারলফ এবং মাইকেল স্পেন্স-এর সঙ্গে তথ্য অর্থনীতির (ইনফরমেশন ইকনমিকস) ক্ষেত্রে অবদানের জন্য অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান।
স্টিগলিৎজের মতে, ১৯৭০ সাল থেকেই অর্থনৈতিক গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র—বাজার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কী পরিমাণ তথ্য আদান-প্রদান করে তা অনুসন্ধান করা। যাকে ইনফরমেশন ইকোনমিকস বা তথ্য অর্থনীতি হিসেবেও অভিহিত করা হয়। বাজার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অনেক সমস্যার মূলে রয়েছে তথ্যপ্রাপ্তির বিশাল ব্যয়। আর এসব প্রতিষ্ঠানের অনেক বৈশিষ্ট্যই এই ব্যয়বহুল তথ্যের মূল কারণ। সবার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত ও সহজ করার মধ্য দিয়ে বাজার ব্যবস্থা শক্তিশালী করা সম্ভব বলে মনে করে এ অর্থনীতিবিদ।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কীভাবে বৈষম্যকে প্রভাবিত করবে এবং কাজের ক্ষেত্র ও সময় কমে আসা মানুষের ওপর কেমন নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, তা নিয়ে সায়েন্টিফিক আমেরিকান ম্যাগাজিনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্টিগলিৎজ। সায়েন্টিফিক আমেরিকান ম্যাগাজিনের সহযোগী সম্পাদক সোফি বুশউইককে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে তিনি এআই-এর নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে সম্ভাব্য করণীয় সম্পর্কেও উল্লেখ করেছেন।
সাক্ষাৎকারটির একটি সম্পাদিত শ্রুতিলিখন সায়েন্টিফিক আমেরিকান ম্যাগাজিনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয় ২০২৩ সালের ১ আগস্ট।
অনুবাদ : শাহেরীন আরাফাত

জেনারেটরিভ এআই ইতিমধ্যে চাকরির বাজারে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। চ্যাটজিপিটির মতো নিজ থেকে লিখতে পারা প্রোগ্রামগুলোর জন্য কপিরাইটারদের ছাঁটাই করা হয়েছে। আইবিএম জানিয়েছে, তারা এআই এর মাধ্যমে করা যেতে পারে এমন হাজার হাজার পদে নিয়োগ স্থগিত করবে। আপনি কি মনে করেন, এই ধারা অব্যাহত থাকবে?

হ্যাঁ, আমি তা করি। কিন্তু এটা কতটুকু ঘটবে, তা আমরা জানি না। আমি মনে করি, গতানুগতিক ধারার চাকরিতে থাকা আরও অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়তে পারেন। আপনি কপি রাইটিং, কপি এডিটিং এর কথা উল্লেখ করেছেন। যেখানে একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে কাজ করা হয়। সেসব নিয়ম কীভাবে কাজ করে তা শিখে নিতে পারে এআই। এটি কানে তেমন ভালো নাও শোনাতে পারে এবং আমি মনে করি যে, প্রচুর এআই-মানব ইন্টারফেস আসতে চলেছে—অর্থাৎ, মানুষ উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর সরঞ্জাম হিসেবে এআই ব্যবহার করবে।

আমি মনে করি না যে, এআই এমন একটি পর্যায়ে রয়েছে, যেখানে এককভাবে এটিকে বিশ্বাস করা যেতে পারে। তবে আমি মনে করি, এটি হরেক রকমের কাজ করার জন্য একটি খুব শক্তিশালী হাতিয়ার, যা গতানুগতিক কাজগুলো করতে পারবে। কেউ একজন আমার তথ্যের উপর চ্যাটজিপিটিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে এটি কতটা ভালো কাজ করেছে তা দেখার জন্য আমি এটি পরীক্ষা করেছি। প্রশ্নগুলো আমি তৈরি করেছি এবং আমি এর উত্তর পর্যালোচনা করেছি। আমার ধারণা, অর্ধেক প্রশ্নে পুরোপুরি যুক্তিসঙ্গতভাবে উত্তর দেওয়া হয়েছে। তিনটি প্রশ্নের ক্ষেত্রে, উত্তর সম্পূর্ণ ভুল ছিল। সুতরাং আমি মনে করি, অনেক মানুষের মিথস্ক্রিয়া ছাড়া এটি ঠিকঠাক কাজ করবে না। শুধু উত্তরের গুণগতমানই নয়, আপনাকে পরীক্ষা করতে হবে—পক্ষপাত ও অর্থপূর্ণতা। সেই সঙ্গে দেখতে হবে এটি রেফারেন্স তৈরি করেছে কিনা।

এআই-এর কর্মসংস্থান সৃষ্টির সম্ভাবনা কেমন? নতুন এআই যুগে যে কাজ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, নতুন কাজের পরিসর কি সে অনুযায়ী যথেষ্ট হবে?

না, আমি তা মনে করি না। আমি মনে করি, এটি বিভিন্ন দক্ষতার চাহিদা তৈরি করবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, এআই এখনো অনেকটা ব্ল্যাক বক্সের মতো। এর মানে হল, যারা এটি তৈরি করেন, তারাও বুঝতে পারেন না, এটি কীভাবে কাজ করছে। অন্তত কিছু মানুষ উপলব্ধি করতে পারছেন যে, এআই পরিচালনার জন্য গাণিতিক দক্ষতার চেয়েও বেশি ভাষাগত ও মানবিক দক্ষতার প্রয়োজন হতে পারে। এটি শ্রম বাজারে মূল্যবান দক্ষতার ধরনে পরিবর্তন আনতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মানে হল সব জায়গায় না হলেও অনেক জায়গায় শ্রমের চাহিদা কমে যাবে। সেখানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে; কিন্তু আমার মতে, এর চেয়ে অনেক বেশি মানুষ চাকরি হারাবে।

আমরা কি এমন একটি পরিস্থিতিতে পৌঁছাব, যেখানে মানুষের তৈরি কাজ একটি প্রিমিয়াম পণ্য হিসেবে বিবেচিত হবে, যেমন—ক্রেতারা মেশিনে তৈরি সোয়েটারের চেয়ে হাতে বোনা সোয়েটারের জন্য বেশি অর্থ দিতে প্রস্তুত?

হ্যাঁ, একটি বিস্তৃত ধারণা রয়েছে যে, চ্যাটজিপিটি থেকে আসা উপাদানগুলোতে এক ধরনের একমুখিতা রয়েছে। সৃজনশীলতার চাহিদা সবসময়ই থাকবে। আমি মনে করি, এমন সব ক্ষেত্র যেখানে আমরা এটি কে লিখেছে তার উপর খুব বেশি গুরুত্ব দিই না, সেই ক্ষেত্রগুলোতে এখন এটি আমাদের প্রতিস্থাপন করতে চলেছে। যেমন—একটি নিউজলেটার বা এমন কিছু, যা কোনো মেশিনের মাধ্যমে সম্পাদন করা হলেও আমরা তা নিয়ে চিন্তা করি না। এখানে তথ্যের সাহিত্যিক গুণ নয়; আমরা শুধু চাই সেই তথ্যটি সঠিক হোক এবং সঠিক আকারে পাঠানো হোক।

শ্রমবাজারে এত বড় ভাংচুর অর্থনৈতিক বৈষম্যের উপর প্রভাব ফেলতে চলেছে। বৈষম্য নিয়ে গভীর অধ্যয়ন করা একজন মানুষ হিসেবে আপনি চাকরির বাজারে এই পরিবর্তনগুলো স্বল্পমেয়াদে ও আগামী বছরগুলোতে বৈষম্য বৃদ্ধিতে কেমন অবদান রাখবে বলে মনে করেন?

আমি এ নিয়ে খুবই চিন্তিত। একভাবে বলা যায়, রোবট আমাদের নিত্যদিনের কায়িক শ্রমের কাজগুলো প্রতিস্থাপন করে নিয়েছে। আর এআই এখন নৈমিত্তিক ডেস্কে বসা কর্মীর কাজগুলো হয় প্রতিস্থাপন করছে অথবা প্রতিস্থাপন হয়তো করছে না; তবে চাহিদা কমিয়ে দিচ্ছে। সুতরাং আমি মনে করি, এমন কাজগুলো ঝুঁকির মধ্যে থাকবে। তাদের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। আর এটি বৈষম্যের স্তরে সামষ্টিক অর্থনীতিকে প্রভাবিত করবে। এটি মোহভঙ্গতার অনুভূতি বাড়িয়ে তুলতে পারে—[যেখানে বিশিল্পায়ন ঘটে, সেখানে] হতাশা থেকে মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পায়।

এটি (এআই) একইসঙ্গে একটি সুবিধা ও অসুবিধা তৈরি করে। সমস্যাটি হল—বিশ্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় অংশ এই বৈষম্যের মুখোমুখি হবে। তবে অন্যদিকে, আমরা যদি সামষ্টিক অর্থনীতিতে সঠিক নীতিমালা গ্রহণ করতে পারি, তাহলে সর্বত্রই কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সুতরাং মানুষকে এখনকার মতো চলাচল করতে হবে না। এখন উপকূলীয় শহরগুলোতে কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে এবং মধ্য-পশ্চিম ও দক্ষিণের শিল্প শহরগুলো কর্মসংস্থান হারাচ্ছে। সুতরাং কিছু স্থানভিত্তিক আর্থিক বৈষম্য, যা বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রকে সামনে তুলে ধরছে, এটি ততটা খারাপ নাও হতে পারে।

হোয়াইট কলার বা উচ্চমূল্যের কাজের চাহিদা কমে যাচ্ছে। এ সমস্যার কোনো সমাধান দেখছেন কি? এর প্রভাব কমানোর কোনো উপায় আছে কি?

অবশ্যই। দুটি বিষয়—আমরা অর্থনীতিকে পূর্ণ কর্মসংস্থানের কাছাকাছি রাখার জন্য সামগ্রিক চাহিদা বৃদ্ধি করি এবং (এআই দ্বারা সৃষ্ট) নতুন চাকরির জন্য মানুষকে প্রশিক্ষণ বা পুনঃপ্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য আমাদের সক্রিয় শ্রমবাজার নীতি রয়েছে। যদি আমাদের নীতি ভালো ও বিতরণমূলক হয়, তাহলে লোকজন হয়তো বলতে পারে, ‘আচ্ছা, আমাদের জীবনযাত্রার মান যথেষ্ট উন্নত, আমার আর এত বস্তুগত পণ্যের প্রয়োজন নেই।’ তাই তারা আরও অবসরের স্বাদ পেতে চাইবে। আমরা সপ্তাহে ৩০ ঘণ্টা কাজে যেতে পারি। প্রকৃতপক্ষে, আমাদের সপ্তাহে ৩৫ বা ৪০ ঘণ্টা কাজের ফলে জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধিতে তেমন কোনো হেরফের হবে না। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য জিডিপি পরিমাপ করা নয়; আমাদের লক্ষ্য হলো কল্যাণ। আমরা সামগ্রিকভাবে সংক্ষিপ্ত কর্মসপ্তাহ এবং বাড়তি অবসরের সঙ্গে ভারসাম্যের দিকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারি। নতুন কর্মসংস্থান হবে। আর এভাবে আমরা বর্ধিত উৎপাদনশীলতা ও উদ্ভাবনকে সামঞ্জস্য করার একটি উপায় বের করতে পারি।

আমরা কীভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর্মসপ্তাহ সংক্ষিপ্ত করতে এবং সামগ্রিক মুনাফায় হ্রাস মেনে নিতে উৎসাহিত করতে পারি?

শ্রমিকদের দরকষাকষি করার ক্ষমতায় দুর্বলতার কারণে, বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি নীতিমালা আরোপ ব্যবহার করতে হতে পারে। আমরা মহামন্দায় ‘কর্মঘণ্টা ও মজুরি বিল’ (১৯৩৮ সালের শ্রম আইন) পাস করেছি, যা কর্মসপ্তাহকে ৪০ ঘণ্টায় নিয়ে এসেছিল। এটি অনেক আগের কথা। এখন আমরা এক নতুন জগতে বাস করছি। এখন হয়তো তা অনেক নমনীয়তাসহ ৩০ বা ৩৫ ঘণ্টায় নামিয়ে আনাই উপযুক্ত হবে। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান কর্মীদের এর চেয়ে বেশি কাজ করাতে চায়, তবে তাদের ওভারটাইম দিতে হবে। আমাদের স্বীকার করতেই হবে যে, আমরা এমন একটি ব্যবস্থা তৈরি করেছি, যেখানে শ্রমিকদের খুব বেশি দরকষাকষির ক্ষমতা নেই। সুতরাং এমন এক বিশ্বে এআই নিয়োগকর্তার মিত্র হতে পারে এবং শ্রমিকদের দরকষাকষির ক্ষমতা আরও দুর্বল করতে পারে। আর এটি বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। উদ্ভাবনকে এমনভাবে চালিত করতে সরকারি ভূমিকা নিতে হবে, যা উৎপাদনশীলতা-বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে, চাকরি ধ্বংসকারী হবে না।

এআই বিপ্লব কি অন্য কোনো ঐতিহাসিক ঘটনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ?

ঐতিহাসিক ঘটনাবলির সঙ্গে তুলনা করার ক্ষেত্রে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। আমি মনে করি, কেউ কেউ ভুল উপমা ব্যবহার করেছেন। তারা বলেন, ‘পূর্ববর্তী উদ্ভাবনে যে পরিমাণ কর্মসংস্থান কমেছে, তার চেয়ে বেশি নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। মোটরগাড়ি উদ্ভাবনের পর ঘোড়া ও বগি গাড়ির সঙ্গে যুক্ত লোকজন কাজ হারিয়েছেন। তবে গাড়ি মেরামতের ক্ষেত্রে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হয়।’ এমন কোনও তত্ত্ব নেই, যা বলে যে, উদ্ভাবন এমনই হতে হবে। আমি মনে করি, শুধু ‘অনেক ক্ষেত্রে আরও কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছিল’—এটি ইতিহাস পড়ার একটি অলস উপায়। এটি অনিবার্য নয়, আর কেউ সহজেই বিপরীতটি কল্পনা করতে পারে।

সামগ্রিকভাবে, আপনি কি এ পরিস্থিতি সম্পর্কে আশাবাদী, নাকি নিরাশাবাদী?

সামগ্রিকভাবে বৈষম্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে আমি নিরাশাবাদী। সঠিক নীতিমালা থাকলে আমাদের উৎপাদনশীলতা বেশি এবং বৈষম্য কম হতে পারে এবং সবাই ভালো থাকবে। তবে রাজনৈতিক অর্থনীতি, আমাদের রাজনীতি যেভাবে কাজ করছে, তা সেদিকে যাচ্ছে না। সুতরাং একদিকে আমি আশাবাদী যে, আমরা যদি সঠিক কাজটি করি, তবে এআই দুর্দান্ত হবে। কিন্তু প্রশ্ন হল—আমরা কি আমাদের নীতি-নির্ধারণে সঠিক কাজটি করতে পারছি? আমি মনে করি, এটি অনেক বেশি সমস্যাপূর্ণ।

লেখাটি শেয়ার করুন :

শাহেরীন আরাফাত

শাহেরীন আরাফাত। বেশ কয়েক বছর ধরে পেশাগতভাবে সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত। ‘মঙ্গলধ্বনি’ পত্রিকার সম্পাদক। সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি, অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করেন। অনুবাদ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!