অনুবাদআলাপচারিতা

সাহিত্য রাজনীতি মুক্ত থাকা উচিত―পেদ্রো হুয়ান গুটিয়েররেজ

কিউবার খ্যাতনামা লেখক পেদ্রো হুয়ান গুটিয়েররেজ বেশি পরিচিতি তাঁর উপন্যাস ‘ডার্টি হাবানা ট্রিলজির’ জন্য। বইটি মূলত যৌন উত্তেজনাময় কতগুলো গল্পের সমষ্টি। ১৯৯০ সালের দিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন কিউবাতে সাহায্য বন্ধ করে দিলে হাবানা এক নারকীয় শহরে পরিণত হয়। গুটিয়েররেজ এই বইয়ে সেই সময়কার হাবানা শহরকে চিত্রায়িত করেন। বইটি প্রচণ্ড রকমের আত্মজৈবনিক (লজ্জা শরমের ধার ধারেননি লেখক)। ওখানে তিনি নিজের বিয়ে আর দেশের অর্থনৈতিক ভাঙনের মুখে কী করে পাগল হয়ে যাওয়ার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করেছিলেন তারই এক চমৎকার বয়ান হাজির করেছেন। খোদ কিউবাতে নিষিদ্ধ হলেও ২০টিরও বেশি দেশে বইটি অনুদিত হয়ে প্রকাশ পেয়েছে। হাবানার পটভূমিকায় লেখা বই ‘ট্রিপিক্যাল এনিম্যাল’, ‘দ্য ইন স্যাটিয়েবল স্পাইডারম্যান’, ‘দ্য কিং অব হাবানা’ আর ‘ডগমিট’ ছাড়াও তাঁর ৭টি ফিকশন ও ৮টি কবিতার বই বেরিয়েছে। গুটিয়েররেজের জন্ম ১৯৫০ সালে কিউবার মাতানজাসে। লেখক পরিচয়ের বাইরে তিনি একজন চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর।
গুটিয়েররেজ থাকেন হাবানা শহরে, আর ওখানে বসেই লেখালেখি করেন। বর্তমানে হাবানার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন। জীবিকার জন্য নানা সময় বিচিত্র সব কাজ করেছেন। প্রথম জীবনে তিনি আইসক্রিম ও খবরের কাগজ বিক্রি করতেন। পরে কাজ করেছেন সাংবাদিক হিসেবে। এ ছাড়াও তিনি ছিলেন একজন সাঁতার প্রশিক্ষক, কৃষি শ্রমিক, রেডিওর কথিকা পাঠক। সৈনিক হিসেবেও কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। হাবানার মেলিকোনে অবস্থিত তাঁর কুখ্যাত ‘পেন্টহাউস অ্যাপার্টমেন্টে’ এই সাক্ষাৎকারটি নিয়েছিলেন ত্রিনিদাদের সাংবাদিক ও লেখক নাজমা মুলার। ‘দ্য ক্যারিবিয়ান রিভিউ অব বুকস’-এর জন্য সাক্ষাৎকারটি গৃহীত হয়েছিল।
―অনুবাদক 

নাজমা : ‘ডার্টি হাবানা ট্রিলজিতে’ যে হাবানা শহরের বর্ণনা আপনি দিয়েছিলেন তা এখন অনেকটাই বদলে গেছে। এই সময়ের পর্যটকেরা এখন ওই জায়গায় গেলে বিশ্বাসই করতে পারবে না যে এখানকার বর্ণনাই আপনি ওই বইয়ে দিয়েছেন।

গুটিয়েররেজ : পর্যটকরা যা দেখে তার সাথে বাস্তবের মিল কমই থাকে। তারা শহরের সুন্দর সুন্দর জায়গাগুলো দেখে; কিন্তু ভেতরে ঢোকে না। আমি একটা সাহিত্য উৎসবে যোগ দিতে কলোম্বিয়ার কার্তাহেনা দ্য লা ইন্ডিয়াতে গিয়েছিলাম। ঐতিহাসিক ঐ স্থানটি ছিল খুব সুন্দর, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। প্রতিটি রাস্তার কোণেই ছিল পুলিশ প্রহরা। এই শহরে বেড়ে উঠেছেন এমন একজন কলোম্বিয়ান লেখক আমাকে বলেছিলেন, ওগুলো সব পর্যটকদের জন্য, অন্য প্রান্তে গেলে ভিন্ন চিত্র দেখতে পাবেন আপনি। খুবই ভয়ঙ্কর ওইসব স্থান।

হাবানা অন্যসব শহরের মতোই। পর্যটকদের এলাকার বাইরে আপনি যদি কোনো গলিতে ঢুকে পড়েন তাহলে দেখবেন যে-হাবানা শহরের বর্ণনা আমি দিয়েছি তা এখনও সেখানেই আছে। ‘ট্রপিক্যাল এনিম্যাল’-এ আমি হাবানা নগরীর পুঙ্খানুপুঙ্খ চিত্র অংকন করেছি যা আরও বেশি আন্তরিক, আরও বেশি বাস্তব। একেবারে খুঁটিনাটি বর্ণনা আছে সেখানে। একটা তেলাপোকাও বাদ পড়েনি।

‘দ্য কিং অব হাবানা’ এক কিশোর ভিখারিকে নিয়ে লেখা। তার বয়স মাত্র ১৪। একা। পরিবার পরিজন নেই। নেই বাবা-মা, ভাই-বোন। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় সে। উপন্যাসের পুরো ঘটনা আবর্তিত হয় রাস্তার ওপর। ছেলেটির আর কিছু না থাকলেও ছিল বড়সড়ো একটা পুরুষাঙ্গ। ওটা দিয়েই সংসার চালাত সে। পৃথিবীর প্রত্যেক শহরেই ওর মতো ছেলে খুঁজে পাওয়া যাবে―কার্তাহেনা কিংবা রিও ডি জেনোরিওতেও… ।

‘ডার্টি হাবানা ট্রিলজি’ আর ‘দ্য কিং অব হাবানা’ লেখার পর ওগুলো প্রচারের জন্য আমি স্পেন ও ইতালি গিয়েছিলাম। ফিরে এসে দেখি আমার সাংবাদিকতার চাকরিটি নেই।

নাজমা : ‘ডার্টি হাবানা ট্রিলজির’ মতো এই বই লেখার সাহস আপনি কোথায় পেয়েছিলেন। এই বইটিতে সবকিছু একেবারে নগ্নভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। রাজনীতির কথা বলছি না। সত্যি কথা বলতে গেলে কোনো রাখঢাক করার চেষ্টা পরিলক্ষিত হয়নি আপনার মধ্যে। নিজের আত্মাটাকে পর্যন্ত নগ্ন করে দিয়েছেন…

গুটিয়েররেজ : প্রথম কথা হল আমি আঠার উনিশ বছর থেকে লিখতে শুরু করেছি। সবই লিখেছি―গল্প, উপন্যাস, কবিতা, গান; তবে লিখেছি খুব গোপনে। সবাই আমাকে চিনত সাংবাদিক হিসেবে, লেখক হিসেবে নয়। আমার বয়স যখন ৪৪ তখন থেকে এই অ্যাপার্টমেন্টে থাকতে শুরু করেছি। অনেক সমস্যা আর সংকট ছিল আমার জীবনে। আমার স্ত্রী যিনি আমার দুই সন্তানের জননী―তাঁর সাথে আমার বিচ্ছেদ ঘটেছে, খুবই জটিল আকারের বিবাহ-বিচ্ছেদ ছিল সেটা। দুজনকেই খুব বাজেভাবে সবকিছু সামলাতে হয়েছে। আমার সংকট ছিল সবদিক থেকে―আদর্শগত, ব্যক্তিগত আর আর্থিক। বিপ্লবও আমার জন্য খুব খারাপ অবস্থা সৃষ্টি করেছিল। যাকিছু বিশ্বাস করতাম কোনোটাই বাস্তবায়িত হয়নি। অর্থিক সংকট ছিল একেবারে নির্মম পর্যায়ের। যা রোজগার করতাম তা দিয়ে বড়জোর ডজনখানেক ডিম কেনা যেত। তবে ডিমও খুব একটা পাওয়া যেত না সেই সময়ে। হাতে শ তিনেক পেশো ছিল। কিন্তু কেনার মতো কোনো খাবার মিলত না। ময়লা ফেলার গাড়ির জ্বালানী ছিল না, ফলে আবর্জনা স্তূপাকার হয়ে পড়ে থাকত রাস্তার ওপর। কী করব, আত্মহত্যা? নিজেকে ডুবিয়ে মারব, নাকি ফাঁসিতে লটকাব? নাকি পাগল হয়ে দেশান্তরী হব? বিস্তর ভেবেছিলাম এসব নিয়ে। চিরতরে কিউবা থেকে চলে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। তিন-চার মাসের জন্য অবশ্য ইউরোপ যাওয়া যেত; কিন্তু সে সময় দেশ ত্যাগ করতে পারিনি।

এসব থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার গতানুগতিক উপায় হচ্ছে মদ, নারী ও সিগারেটে নিজেকে ডুবিয়ে রাখা। ধুমপান অবশ্য অনেক করেছি জীবনে। ওই অ্যাপার্টমেন্টে কিছুই ছিল না, না–টিভি, না-গানটানের কোনো ব্যবস্থা। শুধু ছিল একটা বক্স ও তার ওপরে শক্ত একটা কাঠের তক্তা। সেখানেই আমি থাকতাম। করবার মতো কোনো কাজ ছিল না। ছিল নিরন্তর হতাশা। আমার ধারণা মেলিকোন অঞ্চলের সব মেয়েই একবার না একবার এই অ্যাপার্টমেন্ট ঘুরে গেছে, কারণ তাদেরও করবার মতো কিছু ছিল না। একদিন মেলিকোনের একটা মেয়ের সাথে পরিচয় হয়েছিল। দুজন মিলে স্পেনে গিয়েছিলাম। দুমাস ছিলাম সেখানে; কিন্তু স্পেনে থাকার কোনো আগ্রহই আমার ছিল না―ফিরে এসেছিলাম।

১৯৯৪ সাল নাগাদ আমার অবস্থা চরমে ওঠে। সেপ্টেম্বর মাস থেকে ‘ডার্টি হাবানা ট্রিলজি’ লিখতে শুরু করি। বইটি একটু বেশি মাত্রায় আত্মজৈবনিক। বসে বসে গ্লাসের পর গ্লাস রাম গেলা আর সিগারেট খাওয়া ছাড়া অন্য কোনো কাজ ছিল না। খুব বাজে একটা অবস্থা আর কী! খাওয়ার মতো কিছু পাওয়া যেত না। টাকা-পয়সা হাতে এলে কয়েক বোতল রাম আর ক’প্যাকেট সিগারেট কেনা হত। বিস্তর কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে তখন। একেবারে পাগল হয়ে যাওয়ার জোগাড় যাকে বলে। যাতে উম্মাদ হয়ে না যাই তাই লিখতে বসি।

আমি এমন সব মানুষকে নিয়ে লিখেছি যারা একটি নির্দিষ্ট সময় ও স্থানে বাস করছে। নিজের সম্পর্কে লেখা সব সময় একটা মর্ষকামী ব্যাপার, কারণ আপনি আবার একটা অভিজ্ঞতার ভেতরে চলে যান, সব বেদনা আর আবেগ আপনি অনুভব করেন।

আমার উপন্যাসের পেদ্রো হুয়ান সাধারণ এক কিউবান―তেজদীপ্ত, মদ্যপ আর কামজ। সবারই জানা, কিউবার সাহিত্যের ঐতিহ্য খুবই সাংস্কৃতিক। হোসে লিজামা লিমকে সবচেয়ে বড় সাহিত্য-গুরু বলে বিবেচনা করা হয়। আমি ওই ঐতিহ্যটা ভেঙে দিই।

‘ডার্টি হাবানা ট্রিলজি’ আর ‘দ্য কিং অব হাবানা’ লেখার পর ওগুলো প্রচারের জন্য আমি স্পেন ও ইতালি গিয়েছিলাম। ফিরে এসে দেখি আমার সাংবাদিকতার চাকরিটি নেই। তারা আমাকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিল―ইউর সার্ভিসের ওয়্যার নো লংগার রিকয়ার্ড। কিউবাতে সাংবাদিকতা অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রিত আর নানাভাবে প্রভাবিত।

বিস্তর লিখেছি আমি। এখন সবকিছু স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করার চেষ্টা করছি। ১৯৯৪ সাল থেকে পরবর্তী ১২ বছর আমি ১০টি গদ্যগ্রন্থ আর ৪টি কাব্যগ্রন্থ রচনা করেছি। আসিসির সেন্ট ফ্রান্সিসকে নিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি তখন।

নাজমা : যৌনতাকে প্রাধান্য দিয়ে এতগুলো বই লেখার পরও কি আপনার মনে হয় পাঠক আরও সেক্সসমৃদ্ধ রচনা প্রত্যাশা করে আপনার কাছ থেকে?

গুটিয়েররেজ : সব লেখকেরই এই সমস্যাটা আছে। তবে ওসবে আমার আগ্রহ নেই। আমি এমন সব মানুষকে নিয়ে লিখেছি যারা একটি নির্দিষ্ট সময় ও স্থানে বাস করছে। নিজের সম্পর্কে লেখা সব সময় একটা মর্ষকামী ব্যাপার, কারণ আপনি আবার একটা অভিজ্ঞতার ভেতরে চলে যান, সব বেদনা আর আবেগ আপনি অনুভব করেন। যে বইটা নিয়ে এখন কাজ করছি (কারাজোন মেসতিহো, ২০০৭-এ প্রকাশিত হয়েছিল) তা একটা টুরিস্ট-বিরোধী গাইড বই। ওখানে কিউবার এমন সব শহরে ঘুরে বেড়ানোর কথা লিখেছি যেখানে পর্যটকরা যায় না। ভারাদেরো বা ট্রপিকানা ক্যাবারের উল্লেখ সেখানে নেই। তখনকার পাড়া-মহল্লা অবধি পৌঁছে গিয়েছিলাম আর আলাপ করেছিলাম সেখানে বসবাসরত শিল্পী ও শ্রমিকদের সাথে, সংগীতের সুরের সাথে রাম-এর গ্লাসে চুমুক দিতে দিতে খোঁজ নেওয়া গেছে তাদের যৌন জীবন সম্পর্কে যা ছিল খুবই কৌতূহলোদ্দীপক।

স্পেন আর অন্যান্য বড় শহরে বসবাসরত কিউবার সাধারণ নাগরিক বা যাদের বলা হয় অভিবাসী তাদের জীবন নিয়ে লেখার ইচ্ছে আছে আমার। টাকা রোজগারের জন্য তো আমি লিখি না। পাঠক কি প্রত্যাশা করে কিংবা যথেষ্ঠ পরিমাণে যৌনতা সেখানে আছে কিনা তা নিয়ে আমি ভাবি। আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমার স্বাধীনতা। স্পেনে প্রতি মাসে আমার আড়াই হাজার ইউরো খরচ হত। সে তুলনায় কিউবাতে জীবনযাত্রার ব্যায় অনেক কম, তাছাড়া আমি খুব সাধারণ জীবনযাপন করি। আমার কাছে এটিই স্বাধীনতা; যা লিখতে আমার ইচ্ছে হয় তা-ই আমি লিখতে চাই।

নাজমা : আপনার বইয়ে উল্লিখিত আপনার বন্ধুবান্ধব আর চরিত্রগুলোর ভাগ্যে কী ঘটেছে―তারা কি এখনও সংগ্রাম করে যাচ্ছে? আর ওই বারবনিতার দল? ওরা কি আগের মতোই ব্যস্তসমস্ত?

গুটিয়েররেজ : (একটু হেসে) দারিদ্র্য হচ্ছে ঘূর্ণায়মান। এর হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়া কঠিন ব্যাপার। কখনো তা পরিবর্তিত হয় না। আমার বইয়ের নায়ক-নায়িকারা কিংবা হাবানা ওই ব্যক্তিত্বের অন্তর্ভুক্ত নয়। এমনটা আমি মনে করি না। আমি মনে করি ওটা আসলে দারিদ্র্য। মনোবিজ্ঞান, সংস্কৃতি যা-ই বলুন না কেন, নিজে নিজেই পুনরাবৃত্ত হয়, কারণ আর কোনো আশা নেই। ওই চক্রটা ভাঙতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন, একটা প্রজন্মই লেগে যাবে। তবে তাদের জন্য সবকিছু ধীরে ধীরে ভালো হচ্ছে। অনেকের পরিবারই এখন আমেরিকাতে বসবাস করে। তারা নিয়মিত অর্থকড়ি পাঠায়। আবার অনেকেরই সেখানে কেউ নেই, সেখান থেকে কোনো টাকা পয়সা আসে না। তাদের ব্যাপারে আমি আশাবাদী নই।

নাজমা : পৃথিবীর সর্বত্রই দারিদ্র্য আছে, আবার দারিদ্র্যের ভাগ্য পরিবর্তনের সুযোগও আছে। কিউবা আমার নিজের খুব পছন্দের জায়গা; কিন্তু আমার মনে হয় এখানে এমন কিছু নেই যা তাদের অর্থনীতিকে উন্নত করতে পারে।

গুটিয়েররেজ : আমাদের এখানে যথেষ্ঠ পরিমাণে প্রাকৃতিক সম্পদ নেই। কিউবাতে প্রাকৃতিক সম্পদ বলতে বোঝায় পর্যটন আর সমুদ্র সৈকত। চিনি অবশ্য আমাদের আছে, তবে তার অবস্থাও জটিল। আমাদের জনসংখ্যা এখন ১ কোটি ১০ লাখের মতো। অনেক মানুষ।

আমার কাজ হচ্ছে লেখালেখি। এর মাধ্যমেই আমি সবকিছু চিত্রায়িত করতে পারি। রাজনীতির সাথে জড়াতে চেষ্টা করিনি আমি―সমস্যা সমাধানের ব্যাপারগুলো অন্যদের হাতে ছেড়ে দিই, কারণ আমার মনে হয় সাহিত্য রাজনীতি মুক্ত থাকা উচিত।

লেখাটি শেয়ার করুন :

দিলওয়ার হাসান

দিলওয়ার হাসান জন্ম মানিকগঞ্জে। কথাসাহিত্যিক ও অনুবাদক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন। প্রথমে সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে চলে যান ব্যাংকিং পেশায়। গল্পগ্রন্থ : আদম ও ইভের গল্প, ওস্তাদ নাজাকাত আলি কর্নেলকে একটা চিঠি লিখেছিলেন, সরলা এরেন্দিরা ও ডানাকাটা পরি, জনাকীর্ণ গুলিস্তানে জাদুবাস্তবতার মহলা, একটি ইঁচড়েপাকা সাক্ষাৎকারের বয়ান, হাতি নিয়ে হইচই। অনূদিত গ্রন্থ : অন্যদেশের গল্প, টু উইমেন [আলবের্তো মোরাভিয়া], আইজ্যাক সিঙ্গারের ছোটগল্প, হারুকি মুরাকামির শ্রেষ্ঠগল্প, পৃথিবীতে শেষ সন্ধ্যা ও অন্যান্য গল্প [রোবার্তো বোলানিও], তিন নভোচারী [উমবের্তো একো], লাতিন আমেরিকার গল্প : ঘুম আর জাগরণের মাঝে, আমি কেমন করে আমেরিকায় হারিয়ে গিয়েছিলাম [আইজ্যাক সিঙ্গার], তেতো স্বর্গ মিঠে পৃথিবী, অমৃতা-ইমরোজ একটি প্রেম কাহিনি ইত্যাদি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!