দর্শনপ্রবন্ধ

হোর্হে লুইস বোর্হেস : বেলা শেষের গল্প

হোর্হে লুইস বোর্হেসকে যাঁরা লেখকের লেখক বলে মানেন, তাঁরা যে তাঁর বৈদগ্ধ, দার্শনিক প্রজ্ঞা ও বহুস্বরিক সৃজনশীলতাকে অতি উঁচুতে স্থান দেন এ নিয়ে তর্ক না তোলাই সঙ্গত। নিজের লেখালেখির ওপর অটল আস্থাও তাঁকে অনেকের কাছে রাইটার্স রাইটার হিসাবে চিহ্নিত করেছে। ব্যক্তিগত জীবনে যেমন, লেখালেখিতেও নিজস্ব ধ্যানধারণার প্রতি তাঁর একরোখামি সুবিদিত। ব্যাপার কি তবে এই-বোর্হেস নিজের লেখালেখির ধরনধারণ নিয়ে এতটাই নিঃসংশয় ছিলেন, কখনো দিকবদলের কথা ভাবেননি?

বাস্তবে যা দেখা যায় তা বেশ অন্যরকম। কৌতূহলোদ্দীপক হলেও সত্য যে শেষ বয়সে, ১৯৭০-এ বয়স যখন তাঁরও ৭০, বোর্হেস নিজের সাহিত্যদর্শন ও লেখনিকৌশল সম্পর্কে নতুন করে ভাববার সুযোগ নিজেকে দিয়েছেন, যা তাঁর পূর্বেকার সবচেয়ে ফলপ্রসু সময়ের লেখালেখির ধারণা থেকে স্বতন্ত্র।

সত্তর বছর বয়সে প্রকাশিত ক্ষীণকায় গল্পসংকলন ডক্টর ব্রডিস রিপোর্ট (স্মরণীয় গল্প ‘দ্যা গসপেল অ্যাকর্ডিং টু মার্ক’-এ সংকলনভুক্ত) বোর্হেসের শেষ বয়সের সাহিত্যভাবনার গুরুত্বপূর্ণ ধারক। এ গল্প সংকলনের প্রথম সংস্করণের মুখবন্ধে বোর্হেস তাঁর চিন্তাভাবনার দিকপরিবর্তনের বিষয়ে বলতে গিয়ে যা জানিয়েছেন তা বেশ চমকপ্রদ, বলা চলে অবোর্হেসিও। অনেকটা স্বগতোক্তির কায়দায় তিনি বলেছেন, বয়স তো হল, আমার বিশ্বাস এত দিনে আমি আমার নিজ কণ্ঠস্বর খুঁজে পেয়েছি। বোর্হেস-পাঠকদের জন্য চমকে ওঠার মতো কথা বটে। ৩০ বা ৪০-এর দশকের কর্মমুখর সময়ে তাঁর স্বাতন্ত্র্যময় রচনাসম্ভারে কি বোর্হেস নিজের কণ্ঠস্বর খুঁজে পাননি? বৃদ্ধ বয়সে যে খুঁজে পেলেন বলেছেন, সেটাই-বা কেমন?

বোর্হেস খোলামেলাভাবেই জানিয়েছেন গল্প-আখ্যান রচনায় ঘোরপ্যাঁচের পরিবর্তে সোজাসাপটা (স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড) বয়ানেই তাঁর এখন পক্ষপাত। এও বলেছেন, এ উপলব্ধি থেকেই ব্রডিস রিপোর্টের গল্পগুলোয় তিনি সাধ্যমতো সোজাসাপটা প্রকাশভঙ্গি গ্রহণ করেছেন। বারোক ঘরনার অন্তর্নিহিত চমক ও দুর্জ্ঞেয় পরিসমাপ্তির বদলে এখন তাঁর পছন্দ আখ্যানে দানাবাঁধা গল্পকে পূর্ণতাদান। এ প্রসঙ্গে যাঁকে তিনি স্মরণ করেছেন-স্মরণই না, কুণ্ঠাহীন যাঁর পদাঙ্ক অনুসরণের কথাও উচ্চারণ করেছেন-তিনি ইংরেজ কিপলিং।

নিজের কণ্ঠস্বর খুঁজে পাওয়া বলতে বোর্হেস ভাষার টানটান সংযমী শক্তিকে বুঝিয়েছেন। ভাষা নিয়ে তাঁর উপলব্ধিকে তিনি অকপটে উপস্থাপন করতে গিয়ে বলেন, প্রতিটি ভাষাই একেকটি ঐতিহ্য, প্রতিটি শব্দ শেয়ারড সিম্বল।

হ্যাঁ, শেষ বয়সে বোর্হেস কিপলিংকে গ্রহণ করেছেন। শেষ বয়সের কিপলিংকে না, তরুণ কিপলিংকে। ১৮৮৫ থেকে ১৮৯০-এ সময়কালে রচিত কিপলিংয়ের স্বল্পদৈর্ঘ্য গল্প সিরিজের অনাড়ম্বর টানটান ভঙ্গি তাঁকে এতই মুগ্ধ করেছিল, বিশেষত গল্পগুলোর বাকসংযম, তিনি ভীষণ উদ্বুদ্ধ বোধ করেছিলেন। কিপলিংয়ের সে সময়কার গল্প ‘ইন দ্য হাউস অব সধু’, ‘বিয়ন্ড দ্য পেইল’, ‘দ্য গেট অব হানড্রেড সরওস’-কে তিনি আখ্যা দিয়েছেন ল্যাকোনিক মাস্টারপিসেস বলে। এখানেই থেমে থাকেননি বোর্হেস। কিপলিংয়ের সেই গল্প সিরিজ তাঁকে এতই প্রেরণা জুগিয়েছিল, তিনি প্রায় ঘোষণার কায়দায় জানিয়েছেন, তরুণ বয়সে কিপলিংয়ের মতো ধীমান লেখক যা করতে সক্ষম হয়েছেন, বৃদ্ধ বয়সেও কেউ সে চেষ্টা চালাতে পারেন, যদি শৈলীটা আয়ত্তে থাকে। কথাটা নিজেকেই বলা। বলতে গিয়ে নিজের প্রতি নিজের চ্যালেঞ্জকেও প্রচ্ছন্ন রাখেননি।

বলার অপেক্ষা রাখে না, নিজের কণ্ঠস্বর খুঁজে পাওয়া বলতে বোর্হেস ভাষার টানটান সংযমী শক্তিকে বুঝিয়েছেন। ভাষা নিয়ে তাঁর উপলব্ধিকে তিনি অকপটে উপস্থাপন করতে গিয়ে বলেন, প্রতিটি ভাষাই একেকটি ঐতিহ্য, প্রতিটি শব্দ শেয়ারড সিম্বল। নিরীক্ষাকারীরা ভাষা পাল্টানোর নামে যা করেন তা কাজের কিছু নয়। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন মালার্মে ও জয়েসের ‘জমকালো কিন্তু দুষ্পাঠ্য’ (স্প্লেনডিড বাট আনরিডেবল) রচনাকে।

এ তো গেল উপলব্ধির কথা। বাস্তবিকই কি বোর্হেস তা কাজে খাটিয়েছেন? লেখার ধরন পাল্টেছিলন?

বোর্হেসের গল্পের বর্ণনাভঙ্গি সেই শুরু থেকেই, ভাবনার শাখা-প্রশাখাময় বহুস্বরিক জটিলতা সত্ত্বেও, সরাসরি-ইংরেজি অনুবাদে যেমন পাওয়া যায়। ১৯৪১-এ প্রকাশিত গল্পসংকলন ‘দ্য গার্ডেন অব ফর্কিং প্যাথস’-এ অন্তর্ভুক্ত কয়েকটি গল্প ছাড়া বর্ণনাভঙ্গি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরাসরি ও আঁটোসাঁটো। ভঙ্গিকে আরও সারাসরি, তাঁর ভাষায় স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড ও গতিময় করতে গিয়ে (অন্ধত্বের কারণে এক পর্যায়ে ডিকেটেশনের সাহায্যে) তাঁর রচনার অমূল্য সম্পদ দার্শনিক দ্বান্দ্বিকতাকে কি তিনি ত্যাগ করেছিলেন? তাঁর গল্পের বিষয়আশায় বলতে যে দ্বন্দ্বমুখর দার্শনিক-আধ্যাত্মিক-মনস্তাত্ত্বিক সংকট ও সম্ভাবনার অবতারণা, তা কি শেষ পর্যন্ত একরৈখিকতায় পর্যবসিত হয়েছিল?

এ কি ভালোবাসা না নিষ্ঠুরতা, না ভালোবাসার পথে অনিবার্য, অবশ্যপালনীয় রিচ্যুয়াল? মানুষকে মহান, যিশুর মতো মহান মর্যাদা দিতে গেলে ক্রুশে না চড়িয়ে উপায় কী? বোর্হেস নিজে টু-শব্দটি করেন না। পাঠককে তিনি এতটাই উঁচু আসনে দেখতে পছন্দ করেন।

ডক্টর ব্রডিস রিপোর্টে-র মুখবন্ধে বোর্হেসের ভাবনাচিন্তাকে বইটির নাতিদীর্ঘ ১১টি গল্পের সঙ্গে মিলেয়ে পড়লে তাঁর উপলব্ধির কিছু কিছু সচেতন প্রতিফলন পাওয়া যায় বটে, তবে এমন কথা বলা যাবে না গল্পে খুব একটা দিকবদল ঘটেছে। এসেনশিয়াল বোর্হেস প্রতিটি গল্পেই উজ্জ্বল। আসলে ১৯৭০ সালে এই গল্প সংকলনটি বেরুনোর আগে দীর্ঘদিন, প্রায় ২০ বছর, বোর্হেস গল্পের পথে হাঁটেননি। লম্বা বিরতির পর গল্প লিখতে বসে কীভাবে এগোবেন ভাবতে গিয়ে তরুণ কিপলিংকে তাঁর মনে ধরেছে, আর লেখা হয়ে যেতে দেখা গেল হ্যাঁ, টানটান ভঙ্গির প্রয়োজনে আখ্যানের বয়ানে জটিলতা তিনি অনেকটাই পরিহার করেছেন বটে, কিন্তু তাঁর বৈশিষ্ট্যময় দার্শনিক প্রস্তাবনায় ও প্ররোচনায় এক চুলও ছাড় দেননি। এ সংকলনের বিখ্যাত গল্প ‘দ্য গসপেল অ্যাকর্ডিং টু মার্ক’ তাঁর শ্রেষ্ঠ রচনাগুলোর একটিই নয়, যৌবনের অত্যুজ্জ্বল গল্পঘরনা থেকেও একে আলাদা করা যাবে না। এ গল্পে যে মনস্তাত্ত্বিক-আধ্যত্মিক প্ররোচনা পাঠককে বিমূঢ় করে ছাড়ে, তার পেছনে তীক্ষ্ণ ইঙ্গিতময়, প্রায়-রুদ্ধ বর্ণনাভঙ্গি অনেকটা দায়ী। গল্পের শেষাংশে যখন মূল চরিত্র এসপিনোসার পিছুপিছু সভ্যতার আলোবর্জিত র‌্যাঞ্চবাসী পরিবারটির তিন সদস্য এগিয়ে চলে, চলতে চলতে তার আশীর্বাদ কামনা করে হঠাৎই তার ওপর চাড়াও হয় এবং পরপরই ছাদহীন ঘরের বিমে তৈরি ক্রুশটি তার সামনে উন্মোচিত হয়, তখন এসপিনোসা কী ভাবে? কিংবা হতভম্ব পাঠক? ক্রুশবিদ্ধ হয়ে সে যিশুখ্রিষ্টের মতো গোটা মানবজাতিকে উদ্ধার করবে, নিদেন হননউদ্যত র‌্যাঞ্চবাসী তিনজনকে, নাকি এ তার প্রাপ্য-পূর্বরাত্রির কর্মফল? এ কি ভালোবাসা না নিষ্ঠুরতা, না ভালোবাসার পথে অনিবার্য, অবশ্যপালনীয় রিচ্যুয়াল? মানুষকে মহান, যিশুর মতো মহান মর্যাদা দিতে গেলে ক্রুশে না চড়িয়ে উপায় কী? বোর্হেস নিজে টু-শব্দটি করেন না। পাঠককে তিনি এতটাই উঁচু আসনে দেখতে পছন্দ করেন।

জীবনের দ্বন্দ্বমুখর সম্ভাবনায় দীর্ঘকাল মেতে থেকে শেষ বয়সে বোর্হেস যতই নিরাভরণ হওয়ার চেষ্টা করেন, বয়স বেড়ে যাওয়ার অজুহাত তুলে মেধার চেয়ে শৈলী বা কৌশলের কথা বলেন, কার্যত তাঁর শক্তিমত্তায় যেন নতুন উদ্যমে শান পড়ে। প্রথমে জীবনের ‘লটারি অব ব্যাবিলন’, ‘দ্য গার্ডেন অব দ্যা ফর্কিংস প্যাথস’, ‘দ্য কাল্ট অব ফিনিক্স’, ‘সাউথ’ ইত্যাদি গল্পের খ্যাতি সত্ত্বেও বোর্হেসের পক্ষে এমন ধারণা পোষণ করা বিচিত্র নয়, যে-দার্শনিক প্রতিবেদন তিনি এসব গল্পে উপস্থাপন করেছেন তা হয়তো-বা তৎকালীন বর্ণনারীতির জটিলতায় অনেকটাই আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। তাই কি ভণিতাহীন গল্প বলা, সরাসরি বৃষচক্ষু বিদ্ধ করা? এ পর্যায়ের অন্যান্য গল্প-‘ডক্টর ব্রডিস বিপোর্ট’, ‘দ্য মিটিং’, ‘ইন্ড্রুডার’, ‘এন্ড অব দ্য ডুয়েল’ প্রভৃতিতে বোর্হেসের লক্ষ্য স্পষ্টতই কোনো ধারণা বা অস্ফুট, বিমূর্ত ধারণার বীজকে কোনো ঘটনার বয়ানে ব্যবহারিক জীবনে প্রাসঙ্গিক করে তোলা। গল্প বলাটা অনেক ক্ষেত্রেই নিছক মাধ্যম। ‘ডক্টর ব্রডিস রিপোর্ট’ গল্পটি অবশ্য ব্যতিক্রম। ইয়াহুদের জীবনপ্রণালির বর্ণনায় কৌতুক, হেঁয়ালির পাশাপাশি সভ্য মানুষের প্রতি নীরব ইশারায় গল্পটি ভিন্ন ব্যঞ্জনায় বাঙ্ময়।

‘ভিন্ন রীতিতে’ গল্প লিখতে বসে বোর্হেস যা করেছেন, সে কৃতিত্বের পুরোটা শৈলীগত দক্ষতার ওপর ছেড়ে দিলে বোর্হেসকে অনেকটাই ছেঁটে ফেলা হয়। বোর্হেস নিজে শৈলীর কথা বললেও তাঁর পাঠকমাত্রই জানেন, এ তাঁর হেঁয়ালি।

কিপলিংয়ের সোজাসাপটা ন্যারেটিভেব প্রসাদগুণ বোর্হেসকে মুগ্ধ করেছ, উধ্বুদ্ধ করেছে এবং নিজের ওপর তাঁর প্রবল আত্মবিশ্বাস জীবনের পড়ন্ত বেলায় তাঁকে এ ধাঁচের লেখায় মনোনিবেশের শক্তি জুগিয়েছে-বোর্হেসের নিজ জবানিতে এ তথ্য পাওয়ার পরও এ কথা বলা চলে না যে, ভঙ্গিটি তাঁর ক্ষেত্রে আনকোরা। লেখকজীবনের তুঙ্গে কয়েকটি গল্পের দেখা মেলে (‘শেপ অব দ্য সোর্ড’, ‘থিম অব দা ট্রেইটার অ্যান্ড হিরো’ প্রভৃতি), যেখানে বয়ানরীতি প্রায় একই। এখানে একটি তথ্য প্রাসঙ্গিক মনে হতে পারে। সমসাময়িক আরেক প্রতিভাবান, যিনি প্রধানত গল্পকার না হয়েও বেশ কিছু অসামান্য গল্প লিখেছেন এবং যেগুলোকে তিনিও স্ট্রেটফরোয়ার্ড ন্যারেটিভ আখ্যা দিয়েছেন, তাঁর কথা স্মরণে এলেও বোর্হেস উল্লেখ করেননি। তিনি ব্রেখট। বোর্হেসের চেয়ে বয়সে এক বছরে বড় ব্রেখটের গল্পের সংখ্যা নেহাত কম নয়, সাঁইত্রিশটি, যার প্রায় সবকটাই ধারাবিবরণীর মতো সারাসরি, গতিময়। কোথাও লোকগাথার কায়দায়, কোথাও খবরের কাগজের প্রতিবেদনের ঢঙে, আবার কখনো নিরাভরণ ঘটনা বর্ণনার মধ্য দিয়ে ব্রেখট যা হাসিল করতে চেয়েছেন তা তাঁর নিজের ভাষায় ‘এক্সটারনালাইজিং দা প্যারাডক্সেস অব লাইফ অ্যান্ড দ্য ইউনিভার্স’। বোর্হেসের লেখালেখির সঙ্গে এ ভাবনার মৌলিক কোনো বিরোধ নেই, বরং জোরালো ঐক্যই লক্ষণীয়। ব্রেখট অবশ্য নিজের গল্প নিয়ে কোনোদিনই সরব ছিলেন না, অসামান্য কয়েকটি গল্পের স্রষ্টা হয়েও নিজের গল্পলেখক পরিচিতিকে আমল দেননি। সে অন্য প্রসঙ্গ।

গোড়ার কথায় আসি। দীর্ঘ বিরতিতে রীতিমতো ঘোষণা দিয়ে ‘ভিন্ন রীতিতে’ গল্প লিখতে বসে বোর্হেস যা করেছেন, সে কৃতিত্বের পুরোটা শৈলীগত দক্ষতার ওপর ছেড়ে দিলে বোর্হেসকে অনেকটাই ছেঁটে ফেলা হয়। বোর্হেস নিজে শৈলীর কথা বললেও তাঁর পাঠকমাত্রই জানেন, এ তাঁর হেঁয়ালি। কেবল শৈলীর কারসাজিতে ‘গসপেল’-এর মতো গল্প লেখা যায় না।

লেখাটি শেয়ার করুন :

ওয়াসি আহমেদ

ওয়াসি আহমেদ। জন্ম সিলেট শহরের নাইওরপুলে। লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কবিতা দিয়ে লেখালেখির শুরু। ছাত্রাবস্থায় প্রকাশিত কবিতা সংকলন শবযাত্রী স্বজন। কথাসাহিত্যে বিশেষত গল্পে মনোনিবেশ গত শতকের আশির দশকে। প্রথম গল্প সংকলন : ছায়াদণ্ডি ও অন্যান্য (১৯৯২)। পুস্তকাকারে প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস : মেঘপাহাড় (২০০০)। তাঁর গল্প ইংরেজি, ফরাশি, জার্মান ও আরবি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। সরকারি চাকুরিজীবি হিসেবে বিদেশে কুটনীতিকের দায়িত্ব পালনসহ কাজ করেছেন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নানা অঙ্গনে। সাহিত্যকৃতির স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ দেশের সব প্রধান সাহিত্য পুরস্কার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!