ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুল ও সংস্কৃতি কারখানা
জার্মানির কয়েকজন বামপন্থী বুদ্ধিজীবীর উদ্যোগে ফ্রাঙ্কফুর্ট ইনস্টিটিউট ফোর সোসাল রিসার্চ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২৩ সালে। এই স্কুলের উদ্দেশ্য ছিল সমালোচনামূলক তত্ত্ব ও গবেষণার মানোন্নয়ন। প্রচলিত বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার পোশাকী স্তর অতিক্রম করে পুঁজিবাদী সমাজের তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের নতুন ক্ষেত্র সৃষ্টি করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। এখানে চিন্তার চাষাবাদ করে বিখ্যাত হওয়া তাত্ত্বিকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন থিওডোর অ্যাডোর্নো (১৯০৩-১৯৬৯), ম্যাক্স হর্খেইমার (১৮৯৫-১৯৭৩), হার্বার্ট মার্কুস (১৮৯৮-১৯৬৯) এবং ওয়াল্টার বেনজামিন (১৮৯২-১৯৪০)। এঁদের মধ্যে অ্যাডোর্নো, হর্খেইমার এবং ওয়াল্টার বেনজামিন পণ্ডিত হিসেবে কালোত্তীর্ণ হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
নাৎসি বাহিনী বিশ শতকের তৃতীয় দশকে যখন ইহুদিদের ওপর বর্ণবাদী নিপীড়ন ও বামপন্থীদের দমন করার হীন প্রচেষ্টা শুরু করল, তখন ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুলের কতিপয় সদস্য ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। চল্লিশের দশকের প্রথম দিকে পলাতক কয়েকজন সদস্যের উদ্যোগে নিউইয়র্কে স্কুলটির অস্থায়ী কার্যালয় স্থাপন করা হয়। চল্লিশের দশকের শেষে অ্যাডোর্নো ও হর্খেইমার পুনরায় জার্মানিতে ফিরে আসেন এবং অন্যান্যরা আমেরিকাতেই অবস্থান করে উদারতাবাদ ও প্রায়োগিক সামাজিক বিজ্ঞানচর্চায় আত্মনিয়োগ করেন। অ্যাডোর্নো ও হর্খেইমার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী আমেরিকান পুঁজিবাদী সমাজের তীক্ষ্ণ সমালোচনার ফলে পণ্ডিত মহলে পুনরায় আলোচিত হয়ে ওঠেন। এই দুজনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নাৎসি বাহিনীর ফ্যাসিবাদী জার্মান রাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন, সর্বগ্রাসবাদ, আমেরিকান একাধিপত্য, ভোক্তামুখী পুঁজিবাদ প্রভৃতি নিয়ে বিতর্কের পথ ধরে ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুল গণমাধ্যম ও জনসংস্কৃতি (পপুলার কালচার) বিষয়ক তাত্ত্বিক আলোচনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে সক্ষম হয়। যেসব চিন্তাধারা মাথায় রেখে ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুল তাদের কর্ম-পরিকল্পনা সাজিয়েছিল সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : ১. সামাজিক জীবনের ওপর প্রযুক্তির প্রভাব, বিশেষ করে জনসংস্কৃতি বা পপুলার কালচারের পুনরোৎপাদন প্রক্রিয়ার নেতিবাচক দিক এবং ২. বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ওপর পপুলার কালচারের আধিপত্য বিস্তারের কারণ ও ফলাফল।
পণ্যসর্বস্ব এই সংস্কৃতিকে কার্ল মার্কস যেখানে ‘কমোডিটি ফেটিসিজম’ বা ‘পণ্যপূজা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, অ্যাডোর্নো সেখানে খুঁজে পেয়েছেন সংস্কৃতি কারখানা। মানুষকে প্রয়োজনের বাইরেও পণ্যের মোহমায়ায় আচ্ছন্ন করে রাখার জন্য পুঁজিবাদী প্রকল্পসমূহ সাজানো হয় সর্বগ্রাসী ছক কষে। আর তাই সংস্কৃতি কারখানা বাইরে আলো ঝলমল হলেও ভেতরে কালো টলমল।
জনসংস্কৃতির ওপর গবেষণা করতে গিয়ে অ্যাডোর্নো ও হর্খেইমার তাঁদের Dialectic of Enlightenment (1947, [পরে ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ হয় ১৯৭২ সালে]) গ্রন্থে সংস্কৃতি কারখানা (Culture Industry) তত্ত্বটি উপস্থাপন করেন। এটি মূলত কার্ল মার্কসের পণ্যপূজা (Commodity Fetishism), বিনিময় মূল্যের কর্তৃত্ব এবং একচেটিয়া পুঁজিবাদের সমন্বিত রূপ। সংস্কৃতি কারখানা জনসাধারণের রুচি ও পছন্দের ভিত্তিতে এমনসব সাংস্কৃতিক পণ্য উৎপাদন করে, যেগুলোর মাধ্যমে ব্যবসায়িক সাফল্য লাভের পাশাপাশি এক ধরনের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতাও সৃষ্টি করা সম্ভব। অ্যাডোর্নো ও হর্খেইমার ‘সংস্কৃতি কারখানা’ শব্দবন্ধের ব্যাখ্যায় বলেছেন :
‘সংস্কৃতি কারখানা পরিচিত ও পুরাতনকে নতুন মাত্রায় রূপান্তরিত করে। এর সকল শাখা একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী গণমুখী চাহিদা ও ভোগের প্রকৃতির ধারায় বিপুল পরিমাণ পণ্যের উৎপাদন করে। প্রতিটি শাখা একই কাঠামোতে পারস্পরিক যোগ্যতাবলে কাছাকাছি সংঘবদ্ধ। এটা সম্ভবপর হয়েছে প্রযুক্তিগত সামর্থে্যর পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক সমন্বয়ের ফলে। সংস্কৃতি কারখানা উদ্দেশ্যমূলকভাবেই ভোক্তাদের ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ করে। সেই সঙ্গে সংস্কৃতির ভালো-মন্দের যে তারতম্য যুগ যুগ ধরে চলে আসছে তাতে শৈথিল্য স্থাপন করে। এটি উচ্চমার্গীয় শিল্পকলার সৌন্দর্যকে যেমন বিনষ্ট করে, তেমনি নিম্নবর্গীয় শিল্পকলার স্বকীয়তাও গুঁড়িয়ে দেয় সভ্যতার চমকপ্রদ হাতিয়ারের সাহায্যে। সাধারণ শিল্পকলার যে বিদ্রোহী আবেদন থাকে, তাতেও মন্থর ভাবধারা জুড়ে দেয় সামাজিক সহযোগিতার অনুপস্থিতিতে। মানুষের সচেনতাকে ঘিরে আবর্তিত হলেও মানুষ সংস্কৃতি কারখানার চূড়ান্ত লক্ষ্য নয়-মানুষকে যন্ত্রপাতির সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়াই বরং তাদের অভিপ্রায়। ভোক্তারা এখানে অপাঙক্তেয়, সংস্কৃতি কারখানা তাদের বিষয় হিসেবে গণ্য করে, বিষয়ী হিসেবে নয়।’ (অ্যাডোর্নো, ১৯৯১ : ৮৫)
সংস্কৃতি কারখানার পণ্যসমূহ উৎপাদন করা হয় বাজারমূল্যের ভিত্তিতে। মুনাফার আকার যত বড় হয়, পণ্যের উৎপাদনও তত বাড়ে। বিষয়ের চেয়ে বস্তু, ভোক্তার চেয়ে প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বই এখানে বিবেচ্য। অ্যাডোর্নোর দৃষ্টিতে, আনন্দময় জীবন কিংবা নৈতিক দায়িত্বশীলতা, কোনোটাই সংস্কৃতি কারখানার অভিসন্ধি নয়, বরং এর পেছনে সর্বদা সচল থাকে ক্ষমতার কারসাজি। কিন্তু এই ক্ষমতার সিকিভাগও ভোক্তাদের হাতে নেই, উৎপাদক ও পুঁজিপতিরাই সবকিছুর নিয়ন্তা। পণ্যসর্বস্ব এই সংস্কৃতিকে কার্ল মার্কস যেখানে ‘কমোডিটি ফেটিসিজম’ বা ‘পণ্যপূজা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, অ্যাডোর্নো সেখানে খুঁজে পেয়েছেন সংস্কৃতি কারখানা। মানুষকে প্রয়োজনের বাইরেও পণ্যের মোহমায়ায় আচ্ছন্ন করে রাখার জন্য পুঁজিবাদী প্রকল্পসমূহ সাজানো হয় সর্বগ্রাসী ছক কষে। আর তাই সংস্কৃতি কারখানা বাইরে আলো ঝলমল হলেও ভেতরে কালো টলমল।
বর্তমানে যান্ত্রিক এবং অন্যান্য সুবিধার প্রভাবে চলচ্চিত্রের রূপ এতোটাই বাস্তবিক হয়ে উঠেছে যে, দর্শক মনে করে, এটাই প্রকৃত বাস্তবতা। সংস্কৃতি কারখানা ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক শিল্প-উপাদানগুলোর ব্যবহারযোগে এমন চলচ্চিত্র উপহার দেয়, যা দেখে দর্শকরা বাস্তব জীবন থেকে পর্দার জীবন আলাদা করতে পারেন না এবং অনেক সাধারণ দর্শক চলচ্চিত্রের জীবনযাপন, দর্শন, সংলাপ তাদের যাপিত জীবনে প্রয়োগ করতে চান।
অ্যাডোর্নো ও হর্খেইমার সংস্কৃতি কারখানার পণ্যসমূহের মধ্যে ‘আবর্জনা’ প্রত্যক্ষ করেছেন। রেডিও, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র, পপ সংগীত, ম্যাগাজিনের মধ্যে তাঁরা কোনো শিল্পের অস্তিত্ব অনুভব করেননি। তাঁদের মতে, চলচ্চিত্র কখনো বিশুদ্ধ শিল্পের পর্যায়ে পড়ে না, চলচ্চিত্রের যদিও সহজাত একটা ধর্ম রয়েছে, কিন্তু তাতে প্রতিফলিত সমাজব্যবস্থার মধ্যে এক ধরনের ধোঁয়াশা কাজ করে। আগের দিনে দর্শকরা চলচ্চিত্র বাস্তব জীবনের সঙ্গে কতটুকু সম্পৃক্ত তা যাচাই করে নিতেন, কিন্তু বর্তমানে যান্ত্রিক এবং অন্যান্য সুবিধার প্রভাবে চলচ্চিত্রের রূপ এতোটাই বাস্তবিক হয়ে উঠেছে যে, দর্শক মনে করে, এটাই প্রকৃত বাস্তবতা। সংস্কৃতি কারখানা ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক শিল্প-উপাদানগুলোর ব্যবহারযোগে এমন চলচ্চিত্র উপহার দেয়, যা দেখে দর্শকরা বাস্তব জীবন থেকে পর্দার জীবন আলাদা করতে পারেন না এবং অনেক সাধারণ দর্শক চলচ্চিত্রের জীবনযাপন, দর্শন, সংলাপ তাদের যাপিত জীবনে প্রয়োগ করতে চান। চলচ্চিত্রের এমন প্রতিক্রিয়া সাধারণ্যে অনেক জটিলতা সৃষ্টির কারণ।
সংস্কৃতি কারখানা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে একটি সুসম্পর্ক রক্ষা করে চলে। এ সম্পর্ক অবশ্যই পারস্পরিক অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতার ভিত্তিতে সক্রিয় থাকে। অ্যাডোর্নো উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, একটি যান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একটি রেডিও কারখানার যেমন নির্ভরশীলতার সম্পর্ক, একটি চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও তেমন ব্যাংকের যুক্ততা রয়েছে। আজকাল টেলিভিশনের অনুষ্ঠানগুলোতে বিরাট অংশ জুড়ে যেসব প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয়, তারা বহু আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতা করে। একাধিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পণ্যের প্রচারণার সুবিধার্থে সম্মিলিতভাবে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পেছনে অর্থের জোগান দেয়। ব্যাপক জনসমাগম ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে এমন প্রকল্পের ব্যয়ভারও অনেক সময় পুরোটাই বহন করে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো। কোনো কোনো অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা, পরিকল্পনা ও বিজ্ঞাপনের সর্বত্রই পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া প্রতিষ্ঠানের লোগো ও নাম প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা জুড়ে দেওয়া হয়। অ্যাডোর্নো ও হর্খেইমারের মতে, এমন প্রস্তাব সংস্কৃতির স্বাধীন বিকাশের পথ সংকুচিত করে এবং সংস্কৃতির পণ্যায়ণকে উৎসাহিত করে।
সংগীতকে তিনি শুধু বিনোদনের উপকরণ হিসেবে নেননি, বরং সামাজিকতা ও দার্শনিকতার অন্যতম উৎস হিসেবে বিবেচনা করেছেন। সংগীত ভাবনা তাঁর বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় বরাবরই উদ্দীপনা জুগিয়েছে। এজন্যেই তিনি সংগীতকে দর্শন-সমৃদ্ধ শিল্পকলা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তবে তিনি সবসময়ই সংগীতের বুর্জোয়াকরণের ঘোর বিরোধী ছিলেন।
অ্যাডোর্নো জনপ্রিয় সংগীত নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সংগীতকে তিনি শুধু বিনোদনের উপকরণ হিসেবে নেননি, বরং সামাজিকতা ও দার্শনিকতার অন্যতম উৎস হিসেবে বিবেচনা করেছেন। সংগীত ভাবনা তাঁর বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় বরাবরই উদ্দীপনা জুগিয়েছে। এজন্যেই তিনি সংগীতকে দর্শন-সমৃদ্ধ শিল্পকলা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তবে তিনি সবসময়ই সংগীতের বুর্জোয়াকরণের ঘোর বিরোধী ছিলেন। তাঁর মতে, সংস্কৃতি কারখানা সংস্কৃতির ধ্রুপদী আবেদন নষ্ট করেছে এবং সংগীতকে একটি ‘সাংস্কৃতিক পণ্য’ হিসেবে বাজারমুখী করেছে। সংগীত এখন একটি বিশেষ ভঙ্গির, বিশেষ শিল্পীর, বিশেষ গায়কীর চক্রে আটকে গেছে। অবাধ যান্ত্রিকীকরণের ফলে সংগীতের ভাষা, ভাব ও সুরের মধ্যে এসেছে অভাবনীয় পরিবর্তন। অ্যাডোর্নোর মতে, জনপ্রিয় সংগীত উৎপাদিত হয় প্রমিতকরণ এবং ফিউশনের মাধ্যমে। এতে কথা ও সুরের এত বাঁকবদল ঘটে যে, কখনো মনে হতে পারে, সংগীতের মূলভাবটুকুও বুঝি আর অবশিষ্ট নেই।
ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুলের সংস্কৃতি কারখানা তত্ত্বটি পুঁজিবাদী সমাজের যৌক্তিক বিশ্লেষণের ক্ষেত্র প্রসারিত করলেও সমালোচকদের মতে, অ্যাডোর্নো ও হর্খেইমার জনসংস্কৃতির বিচার যেভাবে করেছেন, তার কোনো প্রায়োগিক প্রমাণ নেই। ভোক্তাদের ওপর গবেষণা না চালিয়েই তারা তাদের নিজস্ব মতামতের ওপর ধারণাটি উপস্থাপন করেছেন। তাছাড়া এতে ভাষাগত জটিলতাও বিদ্যমান। মার্কসের ‘পণ্যপূজা’ ও জনসংস্কৃতির ‘বিনিময় মূল্যের কর্তৃত্ব’ যেভাবে একইসূত্রে গাঁথা হয়েছে, তারও কোনো বাস্তবিক ভিত্তি নেই। ফ্রাঙ্কফ্রুট স্কুলেরই প্রতিনিধি ওয়াল্টার বেনজামিনের সঙ্গে এখানেই অ্যাডোর্নো ও হর্খেইমারের মতাদর্শিক পার্থক্য। বেনজামিন সংস্কৃতি থেকে রাজনীতির পৃথকীকরণের বিপক্ষে এবং সময়ের চাহিদার কারণেই যে সংস্কৃতির আধুনিকায়ন জরুরি, সে বিষয়েও তাঁর দ্বিধা নেই। তিনি মনে করেন, নতুন ফ্যাশন, রুচি, বিনোদন মানুষের জন্যই এবং এগুলোর ব্যখ্যা রাজনৈতিকভাবে না হওয়াই উচিত।
গ্রন্থপঞ্জি
Adorno, Theodor, The Culture Industry, London, Routledge, 1991.
Danesi, Marcel, Popular Culture : Introductory Perspective, Fourth Edition, 2018.
MacDonald, D. A Theory Of Mass Culture, In B. Rosenberg and D. White (Eds) Mass Culture, 1957.
Smith, Philip, Cultural Theory : An Introduction, USA, 2001.

শারফিন শাহ। জন্ম ময়মনসিংহের ভালুকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নৃবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি লেখালেখির ক্ষেত্র। প্রকাশিত গ্রন্থ : জনসংস্কৃতির রূপ ও রূপান্তর (২০২৩)।