অদ্রিতি মেঘের ইশারা
ফেরিওয়ালা
জীবনের থেকে আমি বের হয়ে যাচ্ছি
বালকের কোমরের থেকে
বড়ো সাইজের প্যান্ট যেলা বের হয়ে যায়
খুব পর পর লাগে এখন জীবন
ঘনিয়ে আসছে না কি মরণের সন?
জানি না বুঝি না কিছু
মনে হয়, আমি যেন নিশিরাতে শিকারির ব্যাগে থাকা মাছ
আলদ নিয়েছে তার পিছু
সংশয় নিয়ে নিয়ে হাঁটি জীবন বহনকারী ফেরিওয়ালা এক!
অনুসন্ধান
আমি মেয়েমানুষের ভিতর দেখি
নিজেকে বেড়াই খুঁজে
পুকুরে পলো দিয়ে
মাছ ধরার পদ্ধতিতে
মেয়েমানুষের মন-ময়দানে
নিজের ঘরান খুঁজি
কুত্তা যেলা মরাগোরুর গন্ধ শুঁকে
সামনে এগোয়
ফুল
বাগানের কথা যদি বলি, তাতে
ছড়ানো কত না ফুল
তেমনি কথার বাগানও আমি
লালন করি আমূল
নানান প্রকার কথারা বিছানো
মস্তিষ্ক বিছানায়
তোমাকে বলতে গেলেই অসীম
দূরত্বে চলে যায়
আমার সুরত টুকরো কাগজ
মাটিই ঠিকানা যার
হালকা ইশারা দূরে নিয়ে যায়
বাতাসেই মানি হার
সে বাতাস আমি তোমাকেই জানি
দূরত্ব এর ফল
ঢেউ তুলে খেলো; কাঁদতে কাঁদতে
আমিই যখন জল
তুমি গান নও, তবু নেচে উঠি
নাচ নাকি লুটোপুটি?
দ্বন্দ্ব আমার চেপে ধরে টুটি
যাতনার ফুল ফুটি।
বাঞ্ছা
নদী নদী বলে যদি
কিছু হতে পারি
মাছ কিংবা মাছের
ঝোল-তরকারি
গাছ-নামের জিকির
পড়ে যদি হয়
ফল হয়ে ফলদের
সাথে পরিচয়
ভাবব সফল; ছুঁয়ে
গেছি লক্ষ্য-তীর
ছোঁয়ার বিষয়ে মানি
ঢেউকেউ পির
অদ্রিতি মেঘ
আমার স্ফুলিঙ্গ দেখে দিয়েছে যে রক্তজবা নাম
লোমকূপ থেকে তার সমস্ত সুন্দর কুড়ালাম
জেলেরা কাদার মধ্যে মাছ ধরে যেই নমুনায়।
ধন্যবাদ দেই তারে মন খুলে ফুল চালতায়
কাঁথায় লুকানো সুই, ধারণায় নেই যদি তারে
হাতড়েই বের করি, যাই না তো আতারে ফাতারে।
সংগোপনে থাকলেও চিনে ফেলি এমনই সে টান
যেলা বুঝি; কল্কি থেকে ছড়িয়েছে গাঁজার ঘরান
যে রূপে ছেয়েছি আমি; এ আমার পরনে যে মেঘ
কী-বা নামে ডাকি তারে, অদ্রিতি না অসীম আবেগ?
পুনর্জন্মে পাখি হয়ে বসতে চায় কাঁধে ও মাথায়
আমি তাকে স্থান দেব, রূপান্তর হব গাছপালায়
নাম কিবা বদনাম নিয়ে তার জাদুমন্ত্র খেলি
তাতে ফোটে নানা ফুল; রাধাচূড়া, টগর, চামেলি

মিসবাহ জামিল। জন্ম : সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার পূর্বচাইরগাঁও গ্রামে। প্রকাশিত কবিতার বই দুটি। মানুষ খাওয়ার পদ্ধতি (২০২২), রাশেদা মোকাম (২০২৩)।