শিশুশিক্ষার প্রাথমিক পর্যায় : একটি রূপরেখা
শৈশব : শিশুদের বড় করা
ফারহানা মান্নান
প্রকাশক : কথাপ্রকাশ। প্রকাশকাল : ফেব্রুয়ারি ২০২২।
প্রচ্ছদ : সব্যসাচী হাজরা। মূল্য ২০০/- (দুইশত) টাকা।
নাগরিক জীবনে অভ্যস্ত কর্মজীবী বাবা-মায়ের সকল দুঃশ্চিন্তার কেন্দ্রবিন্দু এখন কীভাবে শিশুকে একটি অনাবিল আনন্দের শৈশব আর সৃজনশীল চর্চার ভেতর দিয়ে গড়ে তোলা যায়। শহুরে পরিবেশে ক্রমশ সঙ্কুচিত হতে থাকা খেলার মাঠ, সুস্থ শিশু বিকাশ কেন্দ্রের দুঃষ্প্রাপ্যতা আর অভিভাবকদের চাকুরির ব্যস্ততা যেন এই দুঃশ্চিন্তাকে দিন দিন সীমাহীন উৎকণ্ঠা আর আশঙ্কার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের এই উদ্বেগ অনুধাবন করেছেন লেখক ফারহানা মান্নান। নিজের শিক্ষা জীবনের অভিজ্ঞতা আর নিজের দুই সন্তানকে বড় করার উপলব্ধির ঋদ্ধতা দিয়ে লিখেছেন শৈশব : ছোটদের বড় করা নামক বইটি।
বইটিতে তিনি একদিকে যেমন শিশুকে গড়ে তোলার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন, অপরদিকে দেখিয়েছেন কীভাবে ভালো প্যারেন্টিং আয়ত্ত করা যায়। ফলে বইটি সুস্থ পারিবারিক সম্পর্ক বিকাশের ক্ষেত্রে একটি অনবদ্য প্রয়াস। মোট ১৭টি রচনায় বইটিতে তিনি তুলে ধরেছেন শিশুদের মননশীলতা ও সৃজনশীলতা বিকাশের আদ্যোপান্ত। বইটির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হল লেখক তাঁর দুই সন্তানের সাথে শিখন পদ্ধতির বিভিন্ন কলাকৌশল নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন তুলে ধরেছেন তাঁর যাপিত জীবনের অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে; যা সকল দম্পতির ক্ষেত্রেই হয়ে উঠতে পারে শিশু বিকাশের এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
বইটি শুরু করেছেন শিশুদের ভাবপ্রকাশের অনবদ্য মাধ্যম আঁকাআঁকির গুরুত্বের দিকটিতে আলোকপাত করে। শিশুর মানসিক বিকাশের প্রাথমিক ধাপ মূলত শুরু হয় বাইরের জগতের সাথে তার সম্পর্ক স্থাপনের মধ্য দিয়ে। শিশুরা যতক্ষণ পর্যন্ত যুক্তি বুদ্ধির বা বিবেচনার স্তর পর্যন্ত না পৌঁছায় ততদিন তাদের অনুভূতি প্রভাবিত হয় নিজেদের মনের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ দ্বারা। তারা বাইরের জগৎ যেভাবে দেখে নিজেদের ভেতরের কল্পনার পৃথিবী সেভাবেই সাজায়। এভাবে তারা দুই জগতের মাঝে একটি সেতুবন্ধন বানিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করে। এই সম্পর্ক আসলে কীভাবে স্থাপিত হতে পারে? লেখক দেখিয়েছেন একমাত্র ছবি আঁকার উৎসাহ দেয়ার মাধ্যমেই এটি সম্ভব। এই ছবি আঁকাআঁকিতে থাকে রঙের ব্যবহার। এটি শিশুদের খুব পছন্দের। রঙ দেখলেই প্রতিটি শিশু নিজের ভেতরের খেলাঘরটি নিয়ে যেন খেলতে বসে যায়। সেজন্য লেখকের অভিমত হল যতবেশি পারা যায় বাচ্চাদের রং নিয়ে খেলতে উৎসাহিত করা। তিনি বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছেন কীভাবে এটি তাদের উদ্ভাবনী চিন্তা বিকাশের দিকও প্রভাবিত করে। পরবর্তী অধ্যায়ে তিনি পরিপূরক একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন আর সেটি হল শিশুর বিকাশ উপযোগী পরিবেশ। এই অধ্যায়টি আমাদের মনে করিয়ে দেয় গ্রামীণ অবকাঠামোতে উন্মুক্ত পরিবেশে শিশুদের বেড়ে ওঠার দিক। যা শহুরে জীবনে খুবই অপর্যাপ্ত বা প্রায় নেই বললেই চলে এখন। লেখক মনে করেন, প্রতিটি বাবা-মায়ের উচিত শিশুকে নিয়ে বিভিন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশে বেড়াতে যাওয়া, এতে করে তাদের সাথে প্রাণি ও উদ্ভিদ জগতের সম্পর্ক এবং আকর্ষণ গড়ে উঠবে। বিভিন্ন পশু-পাখি, ফুল-ফল চেনানোর মাধ্যমে এদের একদিকে যেমন পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি হয় তেমনি অন্যদিকে নিজেদের মানবিক বোধেরও যাত্রা শুরু হয়।
বইটির তৃতীয় সূচিতে লেখক খুবই সংবেদনশীল একটি দিক নিয়ে আলোকপাত করেছেন। স্পর্শ কথা বলে নাম থেকেই বুঝা যাচ্ছে তার গুরুত্ব কতখানি। আমাদের চারপাশের সমাজ অতিমাত্রায় রক্ষণশীল এবং গোঁড়া কাঠামো দ্বারা পরিবেষ্ঠিত থাকার কারণে শিশুরা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শের দ্বারা বিভিন্ন পীড়নের শিকার হয়, যার অধিকাংশই থাকে যৌন ইঙ্গিতের দিকে। শুধু মেয়ে নয় ছেলেরাও এই সব স্পর্শের শিকার হয়ে থাকে। আমাদের কাছের আত্মীয়-স্বজন, বাইরের লোক, স্কুলের শিক্ষক সবার দ্বারাই শিশুরা এরকম অভিজ্ঞতাপ্রাপ্ত হয়। আমাদের শিশুরা ভয়ে এসব বাবা-মায়ের কাছে প্রকাশ করে না। এতে করে তাদের মনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। একটি অপিরিচত ও অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শ তাদেরকে সারাজীবনের জন্য মানসিক ট্রমায় ফেলে দেয়। গ্রাম কিংবা শহর নয় এই কাজটি সকল পরিবেশেই শিশুদের সাথে ঘটে থাকে সর্বত্র। এক্ষেত্রে লেখকের দৃঢ় অভিমত হল শিশুদের সাথে মন খুলে কথা বলে সচেতনতা তৈরি করা, যাতে তারা বুঝতে পারে কোন স্পর্শে তারা আদর পেয়েছে আর কোন স্পর্শে তারা পীড়ন অনুভব করেছে।
বর্তমান সময়টি প্রযুক্তির উৎকর্ষতার যুগ। ছোট বড় সবার জন্যই বাজারে আসছে নিত্য নৈমিত্যিক ডিভাইস। আর এতে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে শিশুরা। বাইরের খেলাধুলার পরিবেশ না থাকা আর বাবা-মায়ের ব্যস্ততার জন্য শিশুরা আরো বেশি ডিভাইস সেন্ট্রিক (device centric) হয়ে উঠছে। এক্ষেত্রে লেখকের অভিমত হল- বাচ্চাদের যেহেতু এসব ব্যবহার থেকে বঞ্চিত করে রাখা যাবে না ফলে তাদেরকে যুগোপযোগী করে তোলাই শ্রেয়। এজন্য তিনি বইতে একটি অধ্যায় সংযোজন করেছেন ডাউনলোড করি, আপলোড করি? শিরোনামে। একুশ শতকের বাস্তবতায় তাদেরকে গড়ে তোলার জন্য তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, বাচ্চারা যে শুধু সারাদিন বিভিন্ন কন্টেন্ট ডাউনলোড করে দেখবে তা নয়, তাকে উৎসাহিত করতে হবে সে যেন কিছুটা আপলোডও করতে পারে। তারা তাদের আঁকা ছবি, মাটি দিয়ে বানানো পুতুল বা বিভিন্ন খেলার ছোট দৈর্ঘ্যের ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করতে পারে। এতে করে তাদের মধ্যে প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও ব্যবহারের দায়বদ্ধতা বাড়ার মনোভাব গড়ে উঠবে।
লেখক আমাদেরকে এখানে সূত্রধরের ভূমিকাটি দেখিয়ে দিয়েছেন যে কীভাবে বাব-মা কিংবা স্কুলের মার্জিত শিক্ষকেরাই হয়ে উঠতে পারেন তাদের একমাত্র পরামর্শদাতা। দেহের পরিবর্তন কীভাবে মনের উপরে প্রভাব ফেলে আর সেটাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে তা তিনি আমাদের দৃষ্টিগ্রাহ্য করতে সক্ষম হয়েছেন
পরবর্তী অধ্যায়ে তিনি শিশুদের মনের কথা শোনার উপর জোর দিয়েছেন, তারা কেন মন খারাপ করে আনমনা হয়ে বসে থাকে এটা যেন অভিভাবকের নজর না এড়ায় সেজন্য তিনি কাউন্সেলিং-এর উপর জোর দিয়েছেন। শিশুদের মনের উপর চাপ কমাতে বাবা-মাকে কাউন্সিলর হয়ে উঠার পরামর্শ দিয়েছেন । লেখক তাঁর ব্যক্তিগত অভজ্ঞতা থেকে দেখিয়েছেন কীভাবে তার একজন ছাত্র শুধুমাত্র কাউন্সেলিং-এর অভাবে আত্মহত্যার দিকে এগিয়ে গিয়েছে। প্রতিটি সন্তানের জন্য এজন্য তিনি বাবা-মাকেই তাদের একান্ত কাউন্সিলর হবার পরামর্শ দিয়েছেন। বইটির সপ্তম অধ্যায়ে তিনি যৌন শিক্ষার মতো অত্যন্ত জরুরি বিষয়ের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। বয়ঃসন্ধিকালে শিশুদের শরীরের মধ্যে এক ধরনের পরিবর্তন দেখা দেয়। এই পরিবর্তন খুবই প্রাকৃতিক এবং স্বভাবিক। এসময় তারা তাদের দেহের পরিবর্তন নিয়ে কৌতূহলী হয়ে উঠে যার ফলে বেড়ে যায় বিপথগামী হবার সম্ভাবনা। লেখক আমাদেরকে এখানে সূত্রধরের ভূমিকাটি দেখিয়ে দিয়েছেন যে কীভাবে বাব-মা কিংবা স্কুলের মার্জিত শিক্ষকেরাই হয়ে উঠতে পারেন তাদের একমাত্র পরামর্শদাতা। দেহের পরিবর্তন কীভাবে মনের উপরে প্রভাব ফেলে আর সেটাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে তা তিনি আমাদের দৃষ্টিগ্রাহ্য করতে সক্ষম হয়েছেন এই অধ্যায়ে।
বইটিতে তিনি পাঠ্য শিক্ষার বাইরে শিশুদের বহুমুখী ঝোঁকের কথা তুলে ধরেছেন। দেখিয়েছেন প্রতিটি শিশুই কীভাবে জন্মগতভাবে স্বতন্ত্র ও আলাদা। তাদের পছন্দ আর অপছন্দের বিষয়ের উপর ভিত্তি করে কীভাবে তাদের মনোজগৎ তৈরি হয়। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, সকল শিশুই অনন্য সুন্দর ও প্রতিভাবান। আমাদের উচিত তাদের বহুমাত্রিক শিক্ষার আগ্রহকে উৎসাহিত করে সাযুজ্যগুলো চিহ্নিত করে শিখন পদ্ধতিটি ধরিয়ে দেয়া। দেখিয়েছেন, কীভাবে সৃজনশীল শিক্ষার কোনো বিকল্প দ্বিতীয় কিছু হতে পারে না এবং সেটি একমাত্র বাসায় বাবা-মায়ের দ্বারা এবং স্কুলে অভিবাভকের হাত ধরেই কেবল অর্জিত পারে। তিনি জোর দিয়েছেন ভাষা শেখার প্রক্রিয়ার উপরে। আনন্দের মাধ্যমে বর্ণমালা শেখাতে পারলে বাচ্চারা সেটা ভোলে না। তাই তিনি বর্ণের আদলে বিভিন্ন প্রতিকৃতি তৈরির মাধ্যমে শব্দ শেখাতে চেয়েছেন। মজার মজার কৌশলের মাধ্যমে যদি বাচ্চাদের বর্ণমালা লেখার কৌশল ধরিয়ে দেয়া হয় তাহলে খুব সহজেই তারা ভাষা শিক্ষা রপ্ত করতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
শহুরে পরিবেশে বেড়ে ওঠা শিশুদের জন্য যেহেতু বাসার বাইরে গিয়ে খেলাধুলার সুযোগ খুব বেশি থাকে না, সেজন্য তিনি জোর দিয়েছেন ইনডোর খেলার কার্যক্রমের উপরে। এক্ষেত্রে তিনি মনে করেন একমাত্র পরিবারের লোকদের তত্ত্বাবধানেই এসব কার্যক্রম করা যেতে পারে। বাসায় যদি ছোট্ট একটা ডাইনিং স্পেস থাকে অনায়াসে সেটাকে মাস্কিন টেপ দিয়ে ঘর বানিয়ে এক্কাদোক্কা বলে চালিয়ে দেয়া যেতে পারে কিংবা বাসার গ্রিল হাইকিং-এর জন্য উৎসাহ দেয়া যেতে পারে। লেখক মনে করেন অভিভাবকেরা যদি বাড়তি মনোযোগ দিয়ে এসব ইনডোর গেইম করতে পারেন সেটা শুধু বাচ্চাদের মানসিক বিকাশে নয় শারীরিক বিকাশেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
শিশুদের মনোজগতের বিকাশের জন্য গানের ভূমিকা অপরিহার্য। এসো গান করি নামক রচনায় তিনি বিভিন্ন স্বীকৃত গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে দেখিয়েছেন যে গানের মাধ্যমে বাচ্চাদের বুদ্ধিমত্তা বাড়ে। সুর শিশুদের স্মৃতি-দক্ষতার ক্ষমতা বাড়ায় যা তাদের পড়াশোনা মনে রাখায় সহায়ক। আবেগ নিয়ন্ত্রণেও গানের ভূমিকা তিনি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। গানের পাশাপাশি তিনি মনে করেন বাচ্চাদের সাথে গল্প বলাটা তাদের নানান কিছু শেখানোর মাধ্যম। পরিবারের প্রতিটা সদস্য যদি তাদের গল্প করে এটা তাদের মনোবল বাড়িয়ে দেবে। তিনি দেখিয়েছেন, গল্পের চরিত্র অনুযায়ী যদি বাচ্চাদের সাজিয়ে নিয়ে গল্প বলা যায় সেটা তাদের দায়িত্বগুণ বাড়াতে সহায়তা করে, চরিত্রানুযায়ী বিভিন্ন রোল প্লে’র মাধ্যমে তারা ভূমিকা নিতে শেখে । তিনি শিশুর সার্বিক বিকাশের জন্য বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, শিল্পকলা এবং গণিত- এই বিষয়গুলোর সমন্বয় করতে পরামর্শ দিয়েছেন।
সর্বশেষ সূচিতে তিনি শিশু বিকাশ উপযোগী কিছু কার্যক্রম তুলে ধরেছেন যা বইটির বিশেষ গুরুত্ববহণ করে। লেখক তার দুই মেয়েকে নিয়ে নানান আচরণ, কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে কিছু পদ্ধতিগত উদাহরণ তুলে ধরেছেন পাঠকের জন্য। তিনি এই পদ্ধতির নাম দিয়েছেন লার্নিং সি এম ওয়ে । পুরো পদ্ধতিটিই শিক্ষনীয়। নানান অ্যাকটিভিটি ডিজাইনের মাধ্যমে তিনি অনেক বিষয় তুলে ধরেছেন যা পাঠ করলে যে কোনো অভিভাবক খুব সহজেই নিজেদের প্রস্তুত করে তুলতে পারবেন বলেই মনে হয়। অনন্ত ধারণাগুলো বাস্তবে রূপায়িত করার উৎসাহ পাবেন।
বইটি যেহেতু শহুরে বাবা-মা এবং তাদের সন্তানদের কথা মাথায় রেখে লিখা, সেজন্য এটিতে কিছু অসামঞ্জস্যতাও পরিলক্ষিত হয়েছে। বিভিন্ন প্রযুক্তিগত প্রভাবে গ্রামীণ সমাজ কাঠামোর দ্রুত ভাঙন ও পরিবর্তন ঘটছে। ফলে গ্রামীণ শিশুদের বিকাশ উপযোগী বিভিন্ন শিখন পদ্ধতি কীভাবে গড়ে তোলা যায় এই বিষয়টি অনুপস্থিত থাকায় অভিভাবকদের কাছে সার্বজনীন হয়ে ওঠেনি। তদুপরি পিছিয়ে পড়া গ্রামীণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্বল্প শিক্ষিত বাবা-মা কীভাবে তাদের বাচ্চাকেও মানসিক বিকাশের জন্য শিখন পদ্ধতি আয়ত্ত করতে পারেন এই দিকটি উঠে আসার প্রয়োজন ছিল। আশা রাখি লেখক তাঁর বইটির পরবর্তী মুদ্রণে এই দিকটি বিবেচনায় রাখবেন।

কাজল দাস। জন্ম মার্চ ১৯৮৮, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে। গদ্য লেখেন। নারীবাদ, যৌনতার সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক বিষয়াবলি তাঁর আগ্রহের বিষয়। সমকালীন শিল্প-সাহিত্য সম্পর্কে রয়েছে বিশেষ কৌতূহল।