হাওয়ার খড়কুটো
ক্রেয়ন রেখার পাখি
যৌন বিমুখতা নিয়ে কোন ফুল ফোটে,
লিপিবদ্ধ করো
লিপিবদ্ধ করো
যৌন কাতরতা নিয়ে কোন কোন মেশিন
ঝুঁকে পড়ছে অবনীর হাইমেনে
তোমা পানে
অন্ধের ভিক্ষাপাত্র ক্রমশ এক জাদুঘর
সম্পর্ক একটা অসুখ
প্রচলিত গানের পিশাচ
সরল আসলে কিছু নয়, স্বল্প গোধূলি রয়ে যাবে
মানুষের মনে
আমার মত্ত হাতির পাল দাঁড়ায় না আয়নার সামনে, ভয়ে
লক্ষ্মীপেঁচার মনে
তোমার ক্রমশ জীবনানন্দ পেল না শুশ্রূষা, শিঞ্জিনীর ক্ষয়ে
এইসব পারিজাতবোধ, নাট্যমুহূর্তের পরেও
সরল আসলে কিছু নয়, যুক্তাক্ষর রয়েই যাবে
হাওয়ার খড়কুটো
শ্যামার মর্মর থেকে উড়ে যাচ্ছে শ্যামাপাখির ঝাঁক
পূর্ণমায়ার দিকে
বৃষ্টিবিস্তারিত গানে, মুছে যেতে থাকা জানালায়
তুমি আয়ু আমার, অধিকার হয়ে উঠলে না
মা নিষাদ
শত ডাকেও সাড়া দিচ্ছে না, এইরূপ,
সবেমাত্র মরা এক মা-কুকুরের স্তনে অবুঝ সন্তানদের দুধপানের মতো,
মেয়ের বাসরঘরে পাগলিনী এক মা
তার নিরুদ্দেশ স্বামীর খোঁজে ঢুকে পড়েন!
জীবনবীমা দেশহারানোদের কোনো কাজে লাগে না
মঞ্জুশ্রীর ক্ষত
অন্যমনস্কতা আমার আয়ু,
জেনেছি অকালমৃতরা মুখর
মল্লার এক দূরের ভিখারি
কাগজফুল থেকে গড়িয়ে পড়ছে আখর

অমিত রেজা চৌধুরী
জন্ম সত্তরের দশকে। লেখালেখির সূচনা নব্বইয়ের দশকের শুরুতে। কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ লেখেন। মূলত লিটল ম্যাগাজিনে লেখেন । সংগীত, সিনেমা, ভ্রমণ, পুরনো বইপত্র সংগ্রহে আগ্রহী। অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর, বহুজাতিক কোম্পানিতে ক’বছর চাকুরি করেছেন। কোনো গ্রন্থ প্রকাশ হয়নি।