অনুবাদকবিতা

চিনুয়া আচেবের কবিতা

প্রথম উপন্যাস থিংস ফল অ্যাপার্ট প্রকাশের মাধ্যমে, চিনুয়া আচেবে ১৯৫৮ সালে, ব্যাপক আলোড়ন তোলেন। আফ্রিকান সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কাজ হিসাবে বিখ্যাত এই গ্রন্থটি ২০ মিলিয়নের বেশি কপি বিক্রি হয়েছে এবং ৫০টিরও বেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। আচেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও নাইজেরিয়ার বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফ্যাকাল্টি সদস্য হিসেবে কাজ করেন। তিনি ২১ মার্চ ২০১৩ সালে ৮২ বছর বয়সে ম্যাসাচুসেটসের বোস্টনে মারা যান।
বিখ্যাত লেখক এবং শিক্ষাবিদ আলবার্ট চিনুয়ালুমোগু আচেবে ১৬ নভেম্বর ১৯৩০ সালে পূর্ব নাইজেরিয়ার ওগিদি শহরের ইগবো শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ইউনিভার্সিটি কলেজে (বর্তমানে ইবাদান ইউনিভার্সিটি) ইংরেজিতে ডিগ্রি নেওয়া এবং পরবর্তীকালে শিক্ষকতা করার পর, আচেবে ১৯৬১ সালে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনে বহিরাগত সম্প্রচার পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। তিনি ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করবেন।

থিংস ফল অ্যাপার্ট গ্রাউন্ডব্রেকিং উপন্যাসটি নেটিভ আফ্রিকান সংস্কৃতি এবং শ্বেতাঙ্গ খ্রিস্টান মিশনারিদের প্রভাব ও নাইজেরিয়ার ঔপনিবেশিক সরকারের মধ্যে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে রচিত। এই মতবিরোধের প্রতি একটি অবিচ্ছিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে বইটি চমকপ্রদ সাফল্য লাভ করে এবং বিশ্বের অনেক শিক্ষালয়ে আবশ্যিক পাঠ্য হয়ে ওঠে।
১৯৬০-এর দশক আচেবের জন্য ছিল সৃষ্টিশীল সময়। ১৯৬১ সালে তিনি ক্রিস্টি চিনওয়ে ওকোলিকে বিয়ে করেন, যাঁর গর্ভে তিনি চারটি সন্তনের জন্ম দেন এবং এই দশকে তিনি থিংস ফল অ্যাপার্ট (১৯৫৮), নো লংগার অ্যাট ইজ (১৯৬০) এবং অ্যারো অফ গড (১৯৬৪), অ্যা ম্যান অব দ্য পিপল (১৯৬৬) রচনা করেন। এর সবগুলোই রচিত ঔপনিবেশিক দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সংঘাতে আসা ঐতিহ্যগত জীবনধারার সমস্যাকে কেন্দ্র করে।
১৯৬৭ সালে আচেবে এবং কবি ক্রিস্টোফার ওকিগবো সিটাডেল প্রেসের প্রতিষ্ঠা করেন, যার উদ্দেশ্য ছিল একটি নতুন ধরনের আফ্রিকান-ভিত্তিক শিশুদের বইয়ের আউটলেট গড়ে তোলা। নাইজেরিয়ার গৃহযুদ্ধের কিছুকাল পরেই ওকিগবো নিহত হন এবং দুই বছর পর, আচেবে সহলেখক গ্যাব্রিয়েল ওকারা এবং সাইপ্রিয়ান একভেনসির সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দিয়ে স্বদেশে সংঘাত সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করেন।
১৯৭০-এর দশকে আচেবে ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অফ কানেকটিকাট এবং নাইজেরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাকাল্টি পদে কাজ করেন। এই সময়ে তিনি দুটি নাইজেরিয়ান প্রকাশনা সংস্থা, Heinemann Educational Books Ltd. এবং Nwankwo-Ifejika Ltd.-এর পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
আচেবে এই দশকের প্রথম দিকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ ছিলেন, ছোটগল্পের বেশ কয়েকটি সংকলন এবং একটি শিশুতোষ বই প্রকাশ করেন: হাউ দ্য লেপার্ড গট হিজ ক্লজ (১৯৭২)। এ সময়ে প্রকাশিত হয় কবিতা সংকলন বিওয়ার, সোল ব্রাদার (১৯৭১) এবং আচেবের প্রথম প্রবন্ধের বই, মর্নিং ইয়েট অন ক্রিয়েশন ডে (১৯৭৫)।
১৯৭৫ সালে আচেবে UMass-এ “An Image of Africa: Racism in Conrad’s Heart of Darkness” শিরোনামে একটি বক্তৃতা প্রদান করেন, যেখানে তিনি জোর দেন যে জোসেফ কনরাডের বিখ্যাত উপন্যাস আফ্রিকানদের অমানবিক হিসেবে তুলে ধরেছে। পরবর্তীকালে প্রবন্ধ আকারে প্রকাশিত হলে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উত্তর-ঔপনিবেশিক আফ্রিকান রচনায় পরিণত হয়।
১৯৮৭ সালে আচেবের অ্যান্থিলস অফ দ্য সাভানা প্রকাশিত হয়। ২০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে তাঁর প্রথম কোনো উপন্যাস বুকার ম্যাককনেল পুরস্কারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত হয়। পরের বছর তিনি হোপস অ্যান্ড ইম্পিডিমেন্টস প্রকাশ করেন।
১৯৯০-এর দশকটি ট্র্যাজেডির মধ্য দিয়ে শুরু হয়: আচেবে নাইজেরিয়ায় একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়েন যার ফলে তিনি অনেকটা প্যারালাইসড হয়ে পড়েন এবং তাঁকে সারা জীবনের জন্য হুইলচেয়ারে আবদ্ধ হতে হয়। শীঘ্রই, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান এবং নিউ ইয়র্ক সিটির ঠিক উত্তরে বার্ড কলেজে শিক্ষকতা করেন, যেখানে তিনি ১৫ বছর ছিলেন। ২০০৯ সালে ডেভিড এবং মারিয়ানা ফিশার ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং আফ্রিকানা স্টাডিজের অধ্যাপক হিসাবে রোড আইল্যান্ডের প্রোভিডেন্সে অবস্থিত ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টিতে যোগ দিতে আচেবে বার্ড ছেড়ে যান।
ম্যান বুকার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ (২০০৭) এবং ডরোথি এবং লিলিয়ান গিশ প্রইজ (২০১০)সহ আচেবে তাঁর লেখার জীবনে বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন। উপরন্তু, তিনি বিশ্বের ৩০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডিগ্রি অর্জন করেন।
ভূমিকা ও অনুবাদ : মাহমুদ মিটুল


আমচারা

কাচের জানালা দিয়ে দেখলাম
অত্যাধুনিক এক অফিসভবনের
উপর থেকে দুই ফ্লোর নিচের কার্নিশে
একটি নতুন আমচারা গজিয়েছে—
বেগুনি রঙের দুটি কুঁড়ি
কালো কুসুমের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
সৌরালোয় উজ্জ্বল চারাটি
বাতাসে দোলে
আর বৃষ্টি তার বীজে
নিয়মিত পুষ্টি যোগায়।
কিন্তু কতক্ষণ?
পাথুরে কফিন থেকে আসা
বৃষ্টির ঝাপ্টায় আর কতক্ষণ
বাঁচতে পারবে এই খুশিঢেউ?
পাত্রের তলায় অবশিষ্ট ময়দায়
আর কতক্ষণ আহার জুটবে?
হয়তো কোনো বিধবার অসীম বিশ্বাসে
এটা কোনো বনচারী সাধুপুরুষের
অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিল—
জটাধারী চুল তার…
যার কাছে আছে আধ্যাত্মিক ক্ষমতা।
অথবা হয়তো এটা আশা করছে
সবুজ সবজির বিশাল পাত্রের মধ্যে
ককোয়াম বিন্দুর পুনরাবৃত্তির উপর
কোনো বৃদ্ধ কচ্ছপের অলৌকিক ভোজ—
দিনেরা এখন উপকথার বাইরে,
বিশ্বাসের বাইরে?
তখনো আমি দেখছি এটা
পৃথিবী ও আকাশের আদিম
ঝগড়ার মধ্যে নিরপেক্ষ
থেকে ভাসমান বস্তুনিষ্ঠতায়
পাথরের মধ্যে নিজের শিকড়
প্রবিষ্ঠ করছে।

আমি ভাবছি
এই উদ্যোগের প্রধান চালক
বৃষ্টি একদিন ক্ষমতাসীন হবে
এবং উন্মত্ত জলধারায়
এর রক্ষককে নিয়ে ভূমিতে
পৌঁছে দেবে।
কিন্তু প্রতিটা বৃষ্টিদিনে
স্লাবে কিছুটা পানি জমে,
এর পায়ের কাছে গোল হয়ে নাচে,
ঐক্যবদ্ধ এবং পাশ কেটে চলে যায়।
মৃত্যুর পূর্বে এটা
রক্তাভ বর্ণ থেকে
মুমূর্ষু সবুজ হয়ে উঠেছিল।

এখনো আমি চারাটি দেখছি—
শুষ্ক, তারের মতো চিকন এবং
গ্রীষ্মে পুরোপুরি ধুলোগুঁড়ো…
আবেগী সাহসিকতার ক্ষুদ্র
ধ্বংসাবশেষের ওপর এক শিরোনাম।

অনুসন্ধানী

মধ্যরাতে অসম্ভব ভোরের মতো
এটা আচমকা সামনে প্রকটিত হল—
গভীর অরণ্যে একটি অসম বৃত্তকার পর্বতগাত্র
ঘিরে রেখেছে যাকে অ্যাম্বর-রঙের কুহকজাল

একটি দীর্ঘ যাত্রার শেষে যদিও এটি অনেকক্ষণ
কেমন যেন অস্পষ্ট, তুচ্ছ বলে মনে হয়েছে;
একটা বিষয়ই এখন গুরুত্বপূর্ণ—
সেই শরীর এত যত্নে সংরক্ষিত যে
দেখেই বুঝেছি কেন আমাকে টেনে এনেছে

মৃত্যুর পরিবেশ মানানসই নয়,
কিন্তু বাতাসে ছিল
কোনো বিপর্যয়ের আভাস,
ধ্বংসযজ্ঞ

যদি তাই হয়, তবে কোথায়
সেই ধ্বংসাবশেষ? ওই অমসৃণ
জিপসাম পাত্র এটাকে ধারণ করে
যেন একটি মৃত শুঁয়োপোকা গুঁটির
মধ্যে এখনো নিস্তব্ধ যা ভেঙেছে
কোনো একটি হিম হাত
শায়িত রাখতে এমন অবস্থায়।
বাকিসব ছিল ঠিকঠাক এমনকি
হলুদ আলোয় সাদা স্কুলড্রেসও
মানানসই ছিল কেবল
হাঁটু পর্যন্ত পা ছিল না;
বিশেষকরে মুখটি ছিল অবিচল
নিদারুণ মুহূর্তেও কোনো ভয় কিংবা
বেদনায় বিচলিত ছিল না।

পরিষ্কারভাবে কোনো দৃশ্য
স্বপ্নে তেমন দেখা যায় না—
আমার অনুসন্ধানী সত্তাটা
অদূরেই দাঁড়িয়ে ছিল, কিন্তু সম্পূর্ণ
তার পিছনে দীর্ঘ কুয়াশার সন্ধানে:
নিরুত্তর প্রশ্নদের ঘুমপাড়িয়ে রাখো,
তাদের আর উত্থাপন করতে হবে না।
এক উন্মাদ ভোরের নিস্তব্ধতার ফাঁদে
হঠাৎ একটি নিথর দেহের মুখোমুখি
যদিও আমি চিনি না… যথেষ্ট হয়েছে,
আমি হেরে গেছি।

অগাস্টিনহো নেটো

নেটো, তুমি কি শিশুদের ধাঁধায়
ভাগ্যপ্রসন্ন মধ্যমজনের
তুলনায় বেশি কিছু নও; রাক্ষসবধে
এগিয়ে যাচ্ছে কোয়াম; পিছনে
তোমার এক তৃতীয় কেউ, পাকানো
মুষ্ঠি… বেনামা, পিছিয়ে পড়া?

না! কষ্টার্জিত তোমার নিরাপদ
পদক্ষেপ। অপমানের খাড়া
ঢালে তোমার পা তাদের তীব্র
ভারসাম্যে শিখিয়েছে; ধৈর্যসহকারে
তোমার কোমল হাত সর্বোত্তম
আঘাতের জন্য ছিল প্রস্তুত,
নির্মমভাবে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল,
যুদ্ধের কান্না তোমার সুরেলা কণ্ঠস্বর।

তোমার পরিবার ও বন্ধুরা হয়তো
জানত আনন্দ ঝলকে খানখান
করতে অন্ধকার, আমরা ছবিতে
দেখতে পাই; কিন্তু আমি পছন্দ করি
এবং ধরে রাখতে চাই সেই
অন্ধকারের কিংবদন্তি। কারণ
আমি দেখেছি অর্ধসহস্রাব্দ ধরে
ভিনদেশিদের ধর্ষণ ও হত্যা
বোকাদের ভ্যাবলা মুখে হাসি
ফুটায়, আফ্রিকার গর্দভ রাজাদের
অশুভ হাসি সোনায় মোড়ানো
অশ্লীল প্রাসাদে বসে নিজেদের
মানুষকে হত্যাযজ্ঞে তদারকি করে।

নেটো, আমি তোমার প্রস্থানের
গান গাই, তোমার সুবিশাল অস্ত্রাগারের
বিপুল সরবারহে আমি এক ভীরু
দাবিদার। আমি কী গাইব?
বিষাদের কোনো গান? না, আমি
আনন্দ-অশ্রুর গান গাইব; আমি
সেই মানুষটির জন্য উদযাপন করব
যিনি আমাদের দলিত জাতির
ভাগ্যকে করেছেন সুপ্রসন্ন!
তুমি ত্রাতা, তুমি যোদ্ধা এবং তুমিই কবি!

শরণার্থীশিবিরে এক মা

কোনো ‘ম্যাডোনা ও তার শিশু’ পারবে
না ছুঁতে সন্তানের প্রতি তার মমতা—
শীঘ্রই তাকে ভুলে যেতে হত…
ডায়েরিয়ার দুর্গন্ধে বাতাস ছিল ভারী,
নোংরা হাড়-জিরজিরে, পাঁজর লেপ্টানো
পেটে ক্লিষ্ট পায়ে এগিয়ে যাচ্ছিল।
যেখানে অন্যান্য মায়েরা সন্তানের যত্ন
নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল, কিন্তু
এই মা: তার মুখে ছিল ভূতুড়ে হাসি
এবং চোখে ধরে রেখেছিল মাতৃগর্ব…
সে তার দুর্বল হাতে ডলে ডলে
শিশুটিকে গোসল করাল। সে তার
ঝোলা থেকে একটি ভাঙা চিরুনি
বের করে ছেলেটির মাথায়
অবশিষ্ট মরিচা রঙের চুল আঁচড়ালো
এবং চোখ পিটপিট করে সতর্কভাবে
সিঁথি কাটল। তাদের পূর্বের জীবনে
এটা সম্ভবত ছিল প্রাতঃরাশ ও স্কুলে
যাওয়ার পূর্বে দৈনন্দিন কর্মের একটি;
কিন্তু শরণার্থীশিবিরে সে এটা করছে
যেন ছোট্ট কবরে রাখছে একটি ফুল।

এয়ার রেইড

সোভিয়েত প্রযুক্তির অশুভ জঙ্গল
থেকে অত্যন্ত ক্ষিপ্রতায়
আসে মৃত্যুদূত পাখিটি
বন্ধুকে অভিবাদন জানাতে
রাস্তা পার হচ্ছিল লোকটা—
কিন্তু কী মন্থর তার গতি!
করমর্দন করতে না পারার
চেয়েও অধিক বেদনাবহ
ভরদুপুরে প্রত্যক্ষ করা
বন্ধুটির দ্বিখণ্ডিত দেহখানা।

তথ্যসূত্র:
https://www.biography.com/authors-writers/chinua-achebe

লেখাটি শেয়ার করুন :

মাহমুদ মিটুল

মাহমুদ মিটুল। জন্ম ১৪ নভেম্বর ১৯৮৬, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল। ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে সম্মানসহ স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। বর্তমানে তিনি ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি লেখালেখি ও অনুবাদ চর্চা করছেন। প্রকাশিত গন্থ : মুমূর্ষা ও গোঙানি (কবিতা, ২০১২), বিস্ময় মুছে দিও না (কবিতা, ২০১৩), গোল্ডেন কর্ডস, বব ডিলান (অনুবাদ, ২০১৮), নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু (অনুবাদ, ২০২০), চিরায়ত ‍বিশ্বসাহিত্য, কিশোর গল্প (অনুবাদ, ২০২২), হাউ টু টক টু অ্যানিওয়ান, অ্যানিটাইম (অনুবাদ, ২০২৩), মুঘলদের একান্ত জীবন (অনুবাদ, ২০২৩)। সম্পাদনা : বিজন অশ্রুবিন্দু (ছোট কাগজ)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!