হেনরি চার্লস বুকাওস্কি’র সাক্ষাৎকার
জার্মান-আমেরিকান লেখক হেনরি চার্লস বুকাওস্কি (১৯২০-১৯৯৪) ছিলেন কবি, ঔপন্যাসিক এবং ছোটগল্পকার। তাঁর বহুবিতর্কিত বিখ্যাত বেস্টসেলার উপন্যাস ‘উইমেন’ ছাড়াও ‘নোটস অব আ ডার্টি ওল্ড ম্যান’, ‘শেক্সপিয়ার নেভার ডিড দিস’, ‘ইরেকশন’, ‘ইজাকুলেশনস’, ‘এক্সিবিশনস অ্যান্ড জেনারেল টেলস অব অর্ডিনারি ম্যাডনেস’ অনেক জনপ্রিয় হয়েছে। বুকাওস্কির সমগ্র লেখায় নিজের সিটি লসঅ্যাঞ্জেলেস-এর সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার প্রভাব রয়েছে।
পোর্ট সিটি লসঅ্যাঞ্জেলেস-এর সান পেদ্রোতে তাঁর নিজ বাড়িতে ১৯৮১ সালে বিখ্যাত ফটো-সাংবাদিক ও ফিল্ম-ক্রিটিক এলিসা লিওনেলি এই সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেন। এটি ২০১৫ সালের ৪ আগস্ট ‘কালচারাল উইকলি’ পত্রিকায় প্রকাশ হয়।
অনুবাদ : কবি, প্রাবন্ধিক কামরুল ইসলাম
আমার সমস্ত রচনাই আত্মজীবনীমূলক
এলিসা : আপনি আমাদের বলেছিলেন আপনাকে হ্যাংক নামে ডাকতে, আপনার নাম কি চার্লস নয়?
বুকাওস্কি : হেনরির সংক্ষিপ্ত হলো হ্যাংক যা আমার প্রথম নাম। চার্লস হলো আমার মধ্য নাম। আমার মা এবং বাবা প্রায় আমাকে ডাকতেন এভাবে, হেনরিইই (দীর্ঘটানে), ডিনার প্রস্তুত। তখন আমি ডিনারের জন্য যেতাম। আমার খাওয়ার আগে অথবা পরে তারা এইভাবে ডাকত। এটা খুব খারাপ শোনাত। ফলে, আমি যখন লেখালেখির সিদ্ধান্ত নিলাম, তখন ভাবলাম হেনরিটা বাদ দিতে হবে। সুতরাং, আমি নিলাম চার্লস। চার্লস বুকাওস্কি নামটা ভালো শোনায়। আমি কখনোই হেনরি বুকাওস্কি লিখতে চাই না, তাহলে আমাকে না খেয়ে থাকতে হবে। হেনরি নামের মধ্যে অনেক লুপ আছে, ওঠা-নামা করে। চার্লস খুবই ভালো নাম। বুকাওস্কি-এর মধ্যে কিছুটা লুপ থাকলেও এটা ভালো নাম।
এলিসা : বুকাওস্কি হলো পোলিশ নাম, আপনি তো জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করেছেন, কিন্তু আপনি একজন আমেরিকান লেখক। এটা কীভাবে হলো?
বুকাওস্কি : বুকাওস্কি একটি পোলিশ নাম। ১৭৮০ সালে একজন পোল প্রথম জার্মানিতে আসে। আমি যতদূর আন্দাজ করতে পারি আমার পুরো পরিবারই জার্মান। আমার পিতা ক্যালিফোর্নিয়ার পাসাদেনায় জন্মগ্রহণ করেন, জার্মান পিতা-মাতা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি আমেরিকার সৈন্য হিসেবে জার্মানি এসেছিলেন। এখানেই তার আমার মায়ের সাথে সাক্ষাৎ হয় এবং আমার জন্ম হয়। পরে ১৯২৩ সালে আমি যুক্তরাষ্ট্রে আসি যখন আমার বয়স মাত্র তিন বছর। তার আগ পর্যন্ত আমি ওখানেই ছিলাম। সুতরাং আমি আমেরিকান, আমি এখানেই বাস করি, কিন্তু আমার শরীরে রয়েছে জার্মান রক্ত। যখন আমি ইউরোপে যাই, আমি এটা অনুভব করি।
এলিসা : আপনি কেন সান পেদ্রোর এই বাড়িতে বাস করছেন?
বুকাওস্কি : এটা একটা নির্জন জায়গা এবং এখানে কেউ আমাকে বিরক্ত করে না। আমার লেখালেখির টাকায় একটা বাড়ি কিনতে হয়েছিল। দেখো, অনেক বছর চরম দারিদ্রের মধ্যে আমাকে কাটাতে হয়েছে। পরে ইউরোপ থেকে হঠাৎই একসাথে বেশ পরিমাণ রয়্যাল্টি পেয়ে গেলাম। আমেরিকায় যা হয়, তুমি তোমার টাকা খরচ করে শেষ করবে অথবা সরকার তোমার কাছ থেকে নিয়ে নেবে। ধরো, কেউ তো চাই না টাকা পেয়ে তা পুড়িয়ে ফেলতে, বিশেষ করে যাদের আগে থেকে এটা ছিল না। সুতরাং, আমি একটা বাড়ি কিনে ফেললাম এবং বিএমডব্লিউ। এভাবে আমার লাইফ-স্টাইলটাই পরিবর্তন হলো। আমি পূর্ব হলিউডের একটি এক রুমের অ্যাপার্টমেন্টে বাস করতাম। সুতরাং, এখনকার এই পরিবেশ আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম এই পরিবেশ আমাকে ধ্বংস করে দেবে, কারণ আমি এরকম স্পেসে অভ্যস্ত ছিলাম না। ফলে আমি ভাবলাম, যদি সেরকমই হয় তাহলে আমি কোনো ভালো লেখক নই। কিন্তু সেটা হয়নি, আমি এখন প্রত্যেক রাতেই লিখছি।
আমি তখন টেক্সাস-এর একটি ম্যাগাজিনে কবিতাগুলো পাঠালাম। ভেবেছিলাম আমি বোধ হয় একজন বয়স্ক নারীকে অযথাই রাগানোর ব্যাবস্থা করছি এবং হয়তো সে কবিতাগুলো ফেরত পাঠাবে। অবাক হলাম দেখে যে সেই মহিলা আমাকে এক বিশাল চিঠি লিখেছেন এবং আমাকে সেখানে একজন জিনিয়াস হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এলিসা : আপনি লেখক হলেন কীভাবে?
বুকাওস্কি : প্রথম লেখালেখি শুরু করি ১৩ বছর বয়সে। আমি তখন হাসপাতালে ছিলাম। আমার ছিল একনি ভালগারিস রোগ, শরীরে বড় বড় ফোঁড়া, কিছুই করার ছিল না। আমার মনে আছে, আমার তখন মনে হয়েছিল যে এ বয়সে একজন ব্যক্তি খুব বেশি ভাবতে পারে না তার যন্ত্রণা ও পাশবিকতার বাস্তবতা থেকে। আমার প্রথম জীবনের শিক্ষাটা ভালো ছিল। আমার কলেজের শিক্ষা ছিল না। আমাকে অনেক রকমের বাজে কাজ করতে হয়েছে। আমার বয়স যখন ৩৫, আমি তখন চরম পানাসক্ত এবং এটা অনেকদিন ধরে চলেছে। পরিশেষে আমার মুখ দিয়ে রক্ত ওঠা শুরু হলো। আমি মরতে বসলাম। তারা আমাকে চ্যারিটি ওয়ার্ডে নিয়ে গেল এবং আমার মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতে থাকল। কিন্তু আমি মরলাম না। হাসপাতাল থেকে চলে আসলাম, ট্রাক-চালকের চাকরি নিলাম এবং কবিতা লিখতে শুরু করলাম। তার আগে আমি কবিতা লিখিনি, আসলে ব্যাপারটা এরকম যে আমি গত ১০ বছর কোনোকিছুই লিখিনি। সুতরাং, আমি অনেক কবিতা লিখে ফেললাম, কিন্তু জানি না কোথায় তা পাঠাতে হবে। আমি তখন টেক্সাস-এর একটি ম্যাগাজিনে কবিতাগুলো পাঠালাম। ভেবেছিলাম আমি বোধ হয় একজন বয়স্ক নারীকে অযথাই রাগানোর ব্যাবস্থা করছি এবং হয়তো সে কবিতাগুলো ফেরত পাঠাবে। অবাক হলাম দেখে যে সেই মহিলা আমাকে এক বিশাল চিঠি লিখেছেন এবং আমাকে সেখানে একজন জিনিয়াস হিসেবে বর্ণনা করেছেন। একরকম ভেবেছিলাম, হলো আরেক। সে আমাকে দেখতে আসল এবং আমরা একে অপরের সাথে পরিচিত হলাম। অতঃপর আমরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলাম। তারপর দেখলাম যে সে কোটি কোটি টাকার মালিক, এবং সত্যি বলতে কী এটা আমার ভালো লাগেনি। দুই বছর পর সে আমাকে ডিভোর্স দিল এবং এতে বরং আমি খুশিই হলাম। পরে অন্য এক মহিলার দেখা পেলাম। তার নাম ছিল ফ্রান্সিস, আমাদের একটা বাচ্চা হয়েছিল। সেই মেয়ের বয়স এখন ১৬, সে খুবই প্রতিভাবান, গ্রাজুয়েট ডিগ্রিও নিয়েছে।
এলিসা : নারী-শিকারি (woman chaser) এবং পুরুষবাদী (male chauvinist) হিসেবে আপনার পরিচিতি রয়েছে, কারণ আপনার বেস্টসেলার বইটি হলো ‘উইমেন’, কী বলবেন?
বুকাওস্কি : দেখো, আমি কিন্তু অতো বড় মাপের নারী-শিকারি নই (great fucker)। আমি ডজন ডজন নারীর সাথে রাত কাটাই না। কিন্তু যখন উপন্যাস ‘উইমেন’ লেখা শুরু করি, আমার কিছু গবেষণাধর্মী কাজ করতে হয়েছিল। ভেবে নিয়েছিলাম আমাকে অনেক নারীর সংস্পর্শে আসতে হবে। সুতরাং এটি পরিকল্পিতভাবে করেছিলাম। অনেক নারীর দরজায় টোকা দিয়েছি, তার সাথে শুয়েছি, এমনকি যখন আমার কাম-বাসনা জাগেনি, তখনো। আমি সত্যি করে বলছি যে, আপনি যতটা ভাবছেন, আমি তত বড়ো নারীখোর নই। ঐ ধরনের কাজে যে আমি খুবই আগ্রহী, তা কিন্তু নয়।
এ কাজটিও একঘেয়েমি ধরনের। একটা কঠিন কাজও বটে। আর যারা আমাকে পুরুষবাদী হিসেবে ভাবে তাদের জন্য বলতে চাই যে, তারা কেবল গুজবে কান দিয়েছে। তারা যদি আমার সমস্ত সৃষ্টিকর্ম পড়ে, তাহলে তারা বুঝবে যে, আমি নিজেকে যতটা ভালোবাসি, নারীদের ঠিক ততটাই বাসি। তাদের পাশে পাবার আনন্দই আলাদা।
এলিসা : ইতালির পরিচালক মার্কো ফেরেরি আপনার কিছু ছোটগল্প নিয়ে সম্প্রতি একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন, নাম ‘টেলস অব অর্ডিনারি ম্যাডনেস’ এটা কীভাবে ঘটল?
বুকাওস্কি : আমি প্রকৃতপক্ষে এ ব্যাপারে ভালো জানি না। এটা আকস্মিকভাবেই ঘটেছে। আমি অবশ্য একটা চুক্তি-স্বাক্ষর করেছিলাম এবং পরবর্তীকালে যা ঘটেছিল তা হলো, একদিন আমি, মার্কো ফেরেরি ও বেন গাজারা একসাথে মদপান করছিলাম এবং আমরা এমনভাবে কথা বলছিলাম যে আমরা একে অপরকে অনেক বছরযাবত চিনি। আমার মনে হয় এভাবেই কথা বলতে বলতে সেটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে হয়তো। ফেরেরি’র ওপর আমার বিশ্বাস রয়েছে, কারণ মানুষ হিসেবে সে অতুলনীয়, খুবই উষ্ণ। আমি তার কোনো ছবি দেখিনি, আমি যখন তাকে দেখেছিলাম আমার পছন্দ হয়েছিল তাকে।
মানবতা যেন সেই অজ্ঞ বোবা পথ ধরে নেমে যাচ্ছে নিচে, অনেক নিচে, আমি সবকিছু থেকে বেরিয়ে আসতে চাই।
এলিসা : আপনি সবসময় মদপান করেন, আপনার বইগুলোতেও সেটা দেখা যায়। কেন এতসব মদপান?
বুকাওস্কি : ও আচ্ছা, তুমি মদপানের কথা বলছ। তাহলে শোনো, আমি সারাজীবনই ছিলাম দরিদ্র এবং কঠিন কাজের মানুষ। নির্দিষ্ট কোনো চাকরি নেই, কোনোকিছু নেই। তুমি জানো যে যখন তোমার কোনো টাকা থাকবে না, কোনো নারীই তোমার কাছে ভিড়বে না। সুতরাং, এমন একটা সময় আসবে যখন তুমি শুধু চার দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকবে, আর ভাববে বাড়ি ভাড়া কীভাবে দেবে, কোথা থেকে আসবে তোমার আরেক বেলার খাবার। যখন সময় খুব খারাপ হয়ে ওঠে, চারদিকে অন্ধকার ঘন হয়ে আসে, তখন মদপানই একামাত্র সেই সস্তা জাদু, যা তোমাকে স্বপ্ন দেখাবে, ক্ষণিকের জন্য হলেও ভালো রাখবে। আমি এখন আর গরিব নই, কিন্তু চারদিকের বাস্তবতা তো বদলায়নি, মানুষ কোথাও ভালো নেই। আমার একটি কবিতায় আমি বলেছি- মানুষ তুমি আদি থেকেই এটা পাওনি। এটা একটা অনুভূতি আমি সবসময়ই পোষণ করি, সবকিছুই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জীবন নয়, মনুষ্যত্বের এই দুরবস্থাই আমাকে জ্বালায়। গাছপালা আমাকে জ্বালাতন করে না, বিড়ালও করে না, সূর্যও না, মনুষ্যত্বের ব্যর্থতাই আমার কষ্টের কারণ। মানবতা যেন সেই অজ্ঞ বোবা পথ ধরে নেমে যাচ্ছে নিচে, অনেক নিচে, আমি সবকিছু থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। আমি এখন যে জীবন যাপন করছি তা আমার জন্য মোটেও আনন্দের নয়।
এলিসা : এটা শুনতে অনেকটা হতাশাবাদীর মতো মনে হবে। যদি মানবতাই আশাহত হয়, তাহলে আপনি আপনার লেখার ভেতরে কি আশার কথা ব্যক্ত করবেন?
বুকাওস্কি : আমি তো কোনো কাজ সম্পন্ন করার কেউ নই। আমি মাকড়সার মতো কেবল জাল বুনে যাচ্ছি। আমি কেবল এটাই করতে পারি। আমরা যা করি তা কিন্তু আমাদের সহজাত প্রবৃত্তি থেকেই করি। এমনকি আমরা জানিও না যে কেন আমরা এটা করছি। যদি জানতাম, তাহলে হয়তো করতাম না। আমি কোনো নিয়ন্ত্রণ, অধ্যয়ন কিংবা শিক্ষণে বিশ্বাস করি না। আমি ঠিক এটাই বিশ্বাস করি যে, যা ঘটবে তা ঘটবেই এবং সেই ঘটনার সঙ্গে এগোব। সংক্ষেপে বললে বলতে হয় যে, চেষ্টা করা নয়, অন্তত আমার ব্যপারে যা ঘটে। চেষ্টাটাই একটা ধ্বংসাত্মক ব্যাপার। আমি জানি না কেন, অনেককিছু ঘটে যাওয়া সতত্ত্বেও আমি প্রচুর আনন্দের মধ্যে থাকি। প্রায় সময়ই আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে খুব ভালো বোধ করি। এটা আসলে ভেতর থেকে আসা অনুভূতি।
এলিসা : এটা কি সত্যি যে আপনি যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ইউরোপেই বেশি বিখ্যাত?
বুকাওস্কি : নিঃসন্দেহে। ৬০ গুণ বেশি। কেন? আমি ভাবতে ভালোবাসি যে, ইউরোপিয়ান সভ্যতা সংস্কৃতি, জ্ঞান, উদারতা, এমনকি পানাহারের ব্যাপারেও কমপক্ষে ৩০০ বছর এগিয়ে। কারণ সেখানে সবধরনের প্রকৃত রুচিবোধ অনেক আগে থেকেই উন্নীত হয়েছে। এখানে আমেরিকায় দেখো আমরা এখনো অনেকটাই চটকদার এবং ভোঁতা। সুতরাং, আমি মনে করি ওখানের প্রস্তুত মাটি বীজ গ্রহণে সক্ষম, কিন্তু এখানের মাটিতে বীজ ফেলা হয়েছে কিন্তু তা অনুর্বর।
এলিসা : আপনি আপনার কোন বইটিকে বেশি পছন্দ করবেন?
বুকাওস্কি : আমি জানি না, তবে যদি বলি তাহলে শেষে লেখা বইটার কথাই বলব। সেটা কোনটি? আমার স্মরণে নেই। আমি সবসময়ই নতুনটার মধ্যেই বুঁদ হয়ে থাকি। এখন যেটা নিয়ে আছি- ‘হাম অন রাই’। আমার সমস্ত রচনাই আত্মজীবনীমূলক। আমি কবিতায় কিছুটা কল্পনার আশ্রয় নিই এটাকে আরো সজীব করে তোলার জন্য। এটা ঠিক ফটোগ্রাফির মতো, যা ঘটছে, এটা তা-ই বলে। আমার কবিতা অবশ্য কিছুটা আবেগতাড়িত। কবিতার ক্ষেত্রে আমি কিছুটা বেশি বলতে চাই, কিন্তু গদ্যের ব্যাপারে আমি সোজাসাপ্টা।

কামরুল ইসলাম
জন্ম কুষ্টিয়া জেলার ফিলিপনগরে। ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক। দ্বিভাষিক কবি, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক ও ছোটগল্পকার। বিশ্বকবিতায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারতের ৭৪তম স্বাধীনতা দিবস গ্লোবাল সম্মাননা [২০২০] এবং নাইজেরিয়া, ভুটান, কলোম্বিয়া, স্পেন, পর্তুগাল, রোমানিয়া থেকে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। কাব্যগ্রন্থ : দ্বিধান্বিত সুখে আছি যমজ পিরিতে [১৯৯৯], ঘাসবেলাকার কথা [২০০১], যৌথ খামারের গালগল্প [২০০৬], সেইসব ঝড়ের মন্দিরা [২০০৮], চারদিকে শব্দের লীলা [২০১০], অবগাহনের নতুন কৌশল [২০১১], মন্ত্রপড়া সুতোর দিকে হাওয়া [২০১৪], দীর্ঘশ্বাসের সারগাম [২০১৬], বিহঙ্গখচিত লণ্ঠন [২০১৭] নির্বাচিত কবিতা [২০১৯], কিছুটা ভোর, বাতাসের গদ্যসহ [২০২০], আগাছার ইন্দ্রজাল [২০২১], গোপাল সাঁইয়ের কবিতা [২০২৩]। গল্পগ্রন্থ : বিনির্মিত ভাসান, জল থেকে জলে [২০২০]। প্রবন্ধগ্রন্থ : কবিতার বিনির্মাণ ও অন্যান্য [২০০৯], রবীন্দ্রনাথ : বিচিত্রের দূত [২০১৩], কবিতার স্বদেশ ও বিশ্ব [২০১৫], কবি ও কবিতা : কবিতার আলো ও আঁধার [২০১৮]।